টেস্টে কোনও পুরস্কার পাচ্ছেন চেতেশ্বর পূজারা - সেই দৃশ্যটা যেন ক্রিকেট ভক্তদের কাছে মামুলি ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ইন্দোর টেস্টের শেষে পূজারা যে কারণে পুরস্কার পেলেন, তা দেখে বিষম খাওয়ার জোগাড় হল ক্রিকেট ভক্তদের একাংশের। কারণ দীর্ঘতম ছক্কা মারার জন্য তাঁকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে তুমুল মজা করতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ তো বলেই দিলেন, এই পুরস্কারটা চিরকাল নিজের কাছে গুছিয়ে রেখে দেবেন পূজারা।
এমনিতে টেস্টে পূজারা মানেই যেন ‘ডিফেন্স’, ‘ডিফেন্স’, ‘ডিফেন্স’, ‘ব্লক’, ‘ব্লক’, ‘ব্লক’। প্রতিটি রানের জন্য মাটি কামড়ে পড়ে থাকা। প্রচুর বল খেলে রান করা। সেই পূজারাই ইন্দোর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ছক্কা মারেন। বিশেষত যে টেস্টে ব্যাটাররা রীতিমতো সমস্যায় পড়ছিলেন, সেই টেস্টে ছক্কা হাঁকান পূজারা। সেটাও আবার নাথান লিয়নের বলে। যিনি ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। লিয়নের বলটা ডিপ মিড-উইকেটের উপর দিয়ে সেই ছক্কা উড়ে যায়।
সার্বিকভাবে ইন্দোর টেস্টে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা মিলিয়ে মোট আটটি ছক্কা মেরেছেন। প্রথম ইনিংসে দুটি ছক্কা হাঁকান উমেশ যাদব। একটি ছক্কা আসে কেএস ভরতের ব্যাট থেকে। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে কেউ ছক্কা মারেননি (দ্বিতীয় ইনিংসে ট্র্যাভিস হেড একটি ছক্কা হাঁকান)। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রেয়স আইয়ার দুটি ছক্কা হাঁকান। একটি করে ছক্কা মারেন পূজারা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সেই ছক্কার মধ্যে সবথেকে দীর্ঘতম ছিল পূজারার ছক্কা। সেজন্য তাঁকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: IND vs AUS: 'প্রাক্তনরা কি এমন পিচে কখনও খেলেননি?' ঘূর্ণি পিচ নিয়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করলেন রোহিত
ইন্দোর টেস্টের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পূজারার হাতে সেই পুরস্কার তুলে দেন একটি সংস্থার প্রতিনিধি। যে সংস্থার তরফে ওই পুরস্কারের স্পনসরশিপ করা হচ্ছে। সেই পুরস্কার প্রদানের সময় উপস্থাপক মুরলী কার্তিক হেসে বলেন, ‘দীর্ঘতম ছক্কা মারার জন্য এই চেতেশ্বর পূজারা এই পুরস্কার পাচ্ছেন। যে পুরস্কারটা যত্ন করে রাখবে পূজারা।’ তারইমধ্যে পূজারাকেও হাসিমুখে পুরস্কার নিতে দেখা যায়।
বিষয়টি নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু করেছেন নেটিজেনরা। এক নেটিজেন মজা করে বলেন, 'গড়ে ১,০০০ বলে একটি ছক্কা মারেন পূজারা। সত্যিই খুব বিরল মুহূর্ত। সত্যিই বিরল ঘটনা।' অপর একজন বলেন, 'কী! কী! এটাই পূজারার সবথেকে দামি পুরস্কার হবে।' একজন আবার মজার সুরে বলেন, 'জীবনে স্রেফ এটাই দেখা উচিত ছিল। এবার জীবনে মোক্ষলাভ হয়ে গেল।'
তবে সার্বিকভাবে ইন্দোর টেস্টে ভারতের মুখে হাসি থাকার মতো কিছুই হয়নি। আড়াই দিনের কম সময়ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নয় উইকেট হেরে গিয়েছে। সেই টেস্টে হেরে গিয়ে ভারতের কাছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার রাস্তা কিছুটা কঠিন হয়ে গিয়েছে। অন্য কোনও দলের উপর নির্ভর না করে ফাইনালে উঠতে গেলে চতুর্থ তথা আমদাবাদ টেস্টে জিততেই হবে ভারতকে। সেইসঙ্গে স্পিনিং পিচে ভারতীয়দের টেকনিক নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)