গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হওয়ার পর থেকেই দেশ জুড়ে চিন বিরোধী হওয়া বইতে শুরু করেছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমস্ত আর্থিক লেনদেন বন্ধ করার দাবিও সেই আবেগেরই ফসল।
চিন বিরোধী এই হাওয়া পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অন্দরমহলেও। কেননা, আইপিএলের টাইটেল স্পনসর ভিভো একটি চিনা মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা। চিনা সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি উঠতে শুরু করলেও এখনই যে সেটা সম্ভব নয়, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বোর্ডের তরফে।
বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল এপ্রসঙ্গে বলেন যে, যতদিন ভারতের বাজারে চিনের সামগ্রী বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে, ততদিন চিনা সংস্থার কাছ থেকে স্পনসরশিপ বাবদ অর্থ উপার্জনে বাধা থাকার কথা নয়। তিনি এও বলেন যে, চিনা সংস্থার কাছ থেকে নেওয়া অর্থ যদি দেশের কাজে লাগে, তাহলে তাতে আপত্তি থাকা উচিত নয়। কারণ সেই অর্থ ভারতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে, চিনের নয়।
ধুমল বলেন, ‘একটা চিনা সংস্থার হয়ে চিনের স্বার্থে প্রচার করা আর চিনা সংস্থার হয়ে ভারতের স্বার্থে প্রচার করার মধ্যে তফাৎ থাকে। সেই তফাৎটাই বোঝা উচিত সকলের। আমরা আইপিএলের টাইটেল স্পনসর হিসেবে চিনা সংস্থার প্রচারের জন্য তাদের কাছ থেকে যে অর্থ পাই, তার ৪২ শতাংশ সরকারের খাতায় জমা পড়ে ট্যাক্স হিসেবে। তাতে দেশের লাভ হয়। চিনা সংস্থা যদি এই টাকা আইপিএলকে না দিত, তাহলে সেটা তারা নিজেদের দেশে নিয়ে যেত নিশ্চিত। সুতরাং এখান থেকে যে টাকা তারা আয় করে, তার কিছু অংশ এখানেই রেখে দেওয়া দেশের পক্ষে লাভজনক।’
ধুমল আরও বলেন, ‘যদি আমরা স্টেডিয়াম গড়ার জন্য কোনও চিনা সংস্থাকে বরাত দিই, তখন সেটা চিনের অর্থনীতিকে সাহায্য করা হবে। আমরা সেটা করি না। আমরা দেশিয় সংস্থাদের দিয়েই পরিকাঠামো তৈরি করাই।’
বিসিসিআই কোযাধ্যক্ষ ইঙ্গিত দেন, তারা আপাতত ২০২২ পর্যন্ত ভিভোর সঙ্গে যে চুক্তি রয়েছে, তা ছিন্ন করতে চান না। পরের বার চুক্তি করার আগে বিষয়টা নিয়ে পর্যালোচনা করা যাবে। উল্লেখ্য, প্রতি বছর আইপিএলের জন্য ভিভো ৪৪০ কোটি টাকা দেয়, যা থেকে বড় অংশ ট্যাক্স হিসেবে জমা পড়ে সরকারি কোষাগারে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।