
বাইশ গজের দাপুটে অলরাউন্ডার চুনীকেও হারাল বাংলার ক্রিকেট
১ মিনিটে পড়ুন . Updated: 30 Apr 2020, 07:33 PM IST- ক্রিকেটার হিসেবে দক্ষতার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন বাংলার এই ক্রিকেট প্রতিভা। স্বল্প সময়ের মধ্যে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও তিনি সফল হয়েছিলেন।
কিংবদন্তী ফুটবলার হিসেবে চুনী গোস্বামীকে যতটা মনে রেখেছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা, অসামান্য ক্রিকেট অলরাউন্ডার হিসেবে তাঁর অবদান সম্পর্কে খুব কমই প্রচার হয়েছে।
ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেটেও সমান দক্ষতা প্রদর্শন করা সত্ত্বেও ময়দানের বড় ক্লাবের দায়িত্ব সামলানোর চাপে কেরিয়ারের শুরুতে বাইশ গজ থেকে নিজেকে সাময়িক গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন ভারতীয় ফুটবলের দুর্ধর্ষ উইঙ্গার। ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার মুখে ফের ক্রিকেট মাঠে তাঁর প্রত্যাবর্তন ঘটে।
শেষবেলায় শুরু করেও কিন্তু ক্রিকেটার হিসেবে দক্ষতার শীর্ষে পৌঁছেছিলেন বাংলার এই ক্রিকেট প্রতিভা। স্বল্প সময়ের মধ্যেও ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও তিনি সফল হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রয়াত কিংবদন্তী ফুটবলার চুনী গোস্বামী
বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে চুনীর অভিষেক ঘটে ১৯৬৩-৬৩ মরশুমে। ডানহাতি ব্যাটম্যান হিসেবে দলে জায়গা পাকা হতে বেশি সময় লাগেনি। সেই সঙ্গে ডানহাতি মিডিয়াম পেসার হিসেবেও অত্যন্ত কার্যকরী হয়ে ওঠেন তিনি।
১৯৭২-৭৩ মরশুম পর্যন্ত বাংলা দলের সদস্য হিসেবে তিনি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন। রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে বাংলাকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। মোট ৪৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে তাঁর সংগ্রহ ১,৫৯২ রান এবং ৪৭ উইকেট। ক্রিকেটার হিসেবে এই সাফল্য যথেষ্ট ঈর্ষণীয়।
মোহনবাগানে দীর্ঘ দিন খেলা, ৫০টি আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ খেলা, ১৯৬২ সালে এশিয়ান গেমসে ভারতীয় ফুটবল দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সোনাজয় ও ১৯৬৪ সালের এশিয়া কাপে রুপোজয়ের মতো চোখ-ধাঁধানো কীর্তির আলোয় ঢাকা পড়লেও ক্রিকেটার চুনী গোস্বামীর অবদান ভোলার নয়।
বৃহস্পতিবার তাঁর প্রয়াণে ফুটবল দুনিয়ার সঙ্গে শোকস্তব্ধ ক্রিকেট অনুরাগীরাও। কীর্তিমান ফুটবলারের পাশাপাশি এ দিন এক দুর্ধর্ষ ক্রিকেটারকেও হারাল বাংলার ময়দান।