কর্নেল সিকে নাইডু ট্রফির প্রথমদিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ল বাংলা। ত্রিপুরার বিরুদ্ধে ২৬০ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলার ইনিংস। প্রদীপ্ত প্রামাণিক ৫৩ রান না করলে আরও লজ্জার মুখে পড়তে হত বাংলাকে। দিনের শেষ ত্রিপুরার স্কোর বিনা উইকেটে ২৩ রান।
মঙ্গলবার দিল্লির কর্নেল সিং স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। শুরুটা ভালো করলেও ৭৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যান কাজি জুনেইদ সইফিরা। তারপর বাংলার ইনিংসের হাল ধরেন সুদীপ কুমার ঘরামি এবং অগ্নিভ পান। চতুর্থ উইকেটে কিছুটা সামাল দেওয়ার পর দলগত ১২৯ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট পড়ে যায়। ৩৮ রানে আউট হয়ে যান সুদীপ। বাংলার তিন নম্বর আউট হওয়ার পর অভিষেক পোড়েলের সঙ্গে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন অগ্নিভ। কিন্তু মাত্র দু'রানের ব্যবধানে অগ্নিভ এবং অভিষেক আউট হতেই আরও চাপে পড়ে যায় বাংলা।
সেই পরিস্থিতিতে মান-সম্মান বাঁচান প্রদীপ্ত। প্রথমে কৌশিক মাইতি এবং তারপর অর্ক সরকারের সঙ্গে বাংলাকে ২২০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন। নবম উইকেটে মহম্মদ কাইফের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ২৮ রান যোগ করেন। শেষপর্যন্ত ৯৫ বলে ৫৩ রান করে আউট হয়ে যান প্রদীপ্ত। তিনি আউট হওয়ার তিন রান পরেই গুটিয়ে যায় বাংলার ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন প্রদীপ্ত। ৪৫ রান করেন অঙ্কুর পাল। অভিষেক ৩২ রান এবং অগ্নিভ ৩১ রান করেন।
ত্রিপুরার হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন বি বি দেবনাথ। তাঁর দলের সতীর্থরা প্রথম দিনের শেষ কয়েকটি ওভার কোনওরকম বিপদ ছাড়িযে কাটিয়ে দেন। দিনের শেষে ত্রিপুরা স্কোর বিনা উইকেটে ২৩ রান। আপাতত ২৩২ রানে পিছিয়ে আছে ত্রিপুরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।