মুম্বই বনাম বিদর্ভ সিকে নাইডু ট্রফির খেতাবি লড়াই পরিণত হয় শামস মুলানি ও হর্ষ দুবের ব্যক্তিগত ডুয়েলে। দু'দলের দুই বাঁ-হাতি স্পিনার এক ইঞ্চিও জমি ছাড়লেন না। যদিও ব্যাটসম্যানরা তুলনায় দৃঢ়তা দেখানোয় শেষ হাসি হাসে মুম্বই। ফাইনালে বিদর্ভকে ৭৫ রানে হারিয়ে এবারের সিকে নাইডু ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।
আসলে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সুবিধাটাই সম্ভবত মুম্বইকে এগিয়ে রাখে এক্ষেত্রে। প্রথম দফায় তুলনায় ভালো পিচে ব্যাট করে বড় রানের ইনিংস গড়ে তোলাটাই এক্ষেত্রে ম্যাচের ফলাফলে একটু হলেও প্রভাব ফেলে।
মুম্বই প্রথম ইনিংসে ৪৬৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৮৮ রান করেন ভুপেন লালওয়ানি। ৮৫ রান করেন আরমান জাফর। সুবেদ পার্কার ৭২ ও যাদব করেন ৮৯ রান। হর্ষ দুবে ৪টি উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিদর্ভ ৩৮৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। যশ কদম ৬১, এমআর কালে ৬০, মান্দার মাহালে ৮১ ও ওয়াথ ৫৫ রান করেন। শামস মুলানি নেন ৪টি উইকেট।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৮৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে মুম্বই। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা মাত্র ১১৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। দাফেদার ২৯ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি আরমান জাফর। হর্ষ দুবে ৭টি উইকেট নেন দ্বিতীয় ইনিংসে।
আরও পড়ুন:- CK Nayudu-তে আগুনে বোলিং, বলে বলে ৫ উইকেট নিচ্ছেন শামস মুলানি, ফাইনালে মুম্বই
জয়ের জন্য বিদর্ভের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৯৭ রানের। শেষ ইনিংসে বিদর্ভ অল-আউট হয়ে যায় ১২১ রানে। ৪৯ রান করেন যশ কদম। মুলানি শেষ ইনিংসে ৭টি উইকেট নেন।
সুতরাং, দুবে ও মুলানি দু'জনেই প্রথম ইনিংসে ৪টি করে ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭টি করে উইকেট দখল করেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে দু'জনেই ১১টি করে উইকেট দখল করেন। তবে ট্রফি নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুলানি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।