প্যান্ট বা টি শার্ট নয়, একেবারে ধুতি-ফতুয়াতে মাঠে ক্রিকেট খেলতে নামলেন ভোপালের বেশকিছু ক্রিকেট প্রেমী। তবে তারা ক্রিকেটের পাশাপাশি সংস্কৃত ভাষা ও ভারতের সংস্কৃতিকেও একই ভাবে ভালোবাসেন। তাই তো তারা এমন অভিনব কায়দায় ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে নামলেন। উপলক্ষ্য মহির্ষী মহেশ যোগীর জন্মবার্ষিকী। এই অনুষ্ঠানকে বর্ণময় করতে পুজোপাঠ করেন যাঁরা, সেই সব পুরোহিত, বৈদিক পণ্ডিতদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ভারত যে বৈচিত্রের দেশ, এই সব ঘটনাই তার প্রমাণ। শুধু ভোপাল নয়, কাশীতেও এমন একটা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়। সেই মডেলকেই ফলো করে ভোপালে শুরু হয়েছে এই অভিনব ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
হিন্দির চাপে সংস্কৃত ভাষা প্রায় অবলুপ্তির পথে। ভোপালের এক সংগঠন আজও সংস্কৃত আঁকড়ে ধরেই এগোতে চান। আর তাই ভাষাটাকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। ‘সংস্কৃত বাঁচাও মঞ্চ’এর শীর্ষকর্তা চন্দ্রশেখর তিওয়ারি বলেছেন, ‘গত বছর থেকে এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছে। পুজোপাঠ করেন যে সব পুরোহিত কিংবা বৈদিক পণ্ডিত, তাঁরাই এতে অংশ নেন। ধুতি-ফতুয়া পরার পাশাপাশি সমস্ত প্লেয়ার সংস্কৃতেই কথা বলেন। শুধু তাই নয়, ম্যাচের ধারাভাষ্যও দেওয়া হয় সংস্কৃতে।’
অনেকেই প্রশ্ন করছেন ধুতি পরে ক্রিকেট খেলতে কি সমস্যা হয়? ‘সংস্কৃত বাঁচাও মঞ্চ’এর শীর্ষকর্তা চন্দ্রশেখর বলেন, ‘ধুতি পরে খেলার সময় কোনও সমস্যাই হয় না। এমনকি, ফিল্ডিং করতে গিয়েও কোনও সমস্যায় পড়ে না কেউ। আমি তো নিজেই ক্রিকেট খেলি এই টুর্নামেন্টে। ধুতি পরে দিব্যি চার-ছয় মারতে পারি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।