ISL মরশুম শেষ হওয়ার পর থেকে বল ছোঁয়াননি পায়ে। আপাতত সেরকম কোনও ইচ্ছাও নেই সিকে বিনীতের। ইউনাইটেডের হয়ে কলকাতা ময়দানে খেলে যাওয়া মিডফিল্ডার আপাতত ব্যস্ত মোবাইল ফোনে। সপ্তাহে ৭দিন ১০টা-৫টার ডিউটি সেরে বাড়ি ফেরার পরে ফুটবল নিযে ভাবনা-চিন্তা করার ইচ্ছাটুকুও জাগে না তারকা ফুটবলারের। বরং তাঁকে ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষের অসহায় পরিস্থিতি।
ইউনাইটেডের হয়েই সিনিয়র ফুটবলে হাতেখড়ি। পরে বেঙ্গালুরু এফসি ঘুরে ISL-এ প্রবেশ করেন বিনীত। কেরালা ব্লাস্টার্স ও চেন্নইয়িন এফসিতে খেলার পর এখন আস্তানা গেড়েছেন জামসেদপুরে। সদ্য সমাপ্ত মরশুমে জামসেদপুর এফসির হয়ে ৫ ম্যাচে ২টি গোল করেছেন তিনি। ISL শেষ হওয়ার পর নিজের রাজ্যে ফিরে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নেওয়ার আগেই করোনা মহামারীর প্রকোপ দেখা দেয় ভারতবর্ষে।
এমন সংকটের সময় বিনীত দর্শকের ভূমিকা পালণ করতে রাজি ছিলেন না। তাই নিজে থেকেই এগিয়ে এসেছেন করোনা মোকাবিলায়। কেরলের কান্নুর জেলার অসংখ্য মানুষের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার দায় এখন তাঁর ঘাড়ে।
মাংগাত্তিদাম ডিস্ট্রিক্ট পঞ্চায়েতের করোনা কল সেটারের স্বেচ্ছাসেবক এখন জাতীয় দলের এই প্রাক্তন তারকা। সারাদিনে করোনা পীড়িতদের ফোন ধরে তাঁদের প্রয়োজন জানা এবং সেই বার্তা ডেলিভারি বয়দের কাছে পৌঁছে দেওয়াই প্রধান কাজ বিনীতের, যা তিনি গত ১০ দিন ধরে অক্লান্তভাবে করে চলেছেন।
কাজের ফাঁকেই সংবাদমাধ্যমকে বিনীত জানান, গত ২৮ মার্চ তৈরি হয়েছে এই করোনা কল সেন্টার। তিনি নিজে থেকে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার অনুরোধ জানান স্পোর্টস কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্টের কাছে, যিনি নিজেও এই কল সেন্টারের সর্বক্ষণের সঙ্গী।
বিনীত জানান, 'যখন সংকট আসে, আপনার সামনে দু'টি রাস্তা খোলা থাকে। হয় আপনি বাড়িতে বসে সবকিছু দেখতে পারেন। অথবা নিজের ক্ষমতা মতো ভূমিকা নিতে পারেন সংকটের মোকাবিলায়। আমার রাজ্য, আমার জেলা যখন সংকটে রয়েছে, তখন কেবলমাত্র সাইডলাইন থেকে সব কিছু দেখে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।