অবশেষে বিশ্বের এক নম্বর টেনিস নোভাক জকোভিচ এই বছরের অস্ট্রেলিয়া ওপেন খেলতে পারবেন। এই বছর আমেরিকার সরকার জানিয়েছে ১১ মে থেকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের জন্য বা আন্তর্জাতিক সফরের জন্য করোনার টিকা নেওয়া আর বাধ্যতামূলক নয়। করোনা ভাইরাসের টিকা আবিষ্কার হওয়ার পর নোভাক জকোভিচ সেই টিকা নিতে অস্বীকার করেন। যার ফলে গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওপেন খেলতে পারেননি তিনি।
৩৫ বছর বয়সী এই তারকা খেলোয়াড় গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওপেন খেলতে পারেননি। তার সঙ্গে সঙ্গেই এই বছর ইন্ডিয়ান ওয়েলস ও মিয়ামিতে খেলার জন্য মার্কিন প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান। কিন্তু করোনার টিকা না থাকার জন্য অনুমতি পাননি তিনি।
গত বছর করোনার টিকা না নিতে চাওয়ায় অনেক সমস্যার মধ্যে পড়েন জকোভিচ। অস্ট্রেলিয়া ওপেনের সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ওপেনও খেলতে পারেননি। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন করোনার টিকা তো তিনি নেবেনই না বরং যতক্ষণ না কোভিডের ভ্যাকসিনের সম্পর্কিত বিষয় মিটমাট হচ্ছে তিনি গ্র্যান্ড স্ল্যামগুলিতে খেলবেন না।
এই বছর জকোভিচকে এই ধরনের সমস্যার মধ্যে আর পড়তে হবে না। গত দু'বছর ধরে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার ধারণ করলেও গত বছর থেকে ধীরে ধীরে ভাইরাসের প্রকোপ কমতে থাকে। করোনার সময় জনজীবনের সঙ্গে সঙ্গে খেলাধুলার প্রতিযোগিতাও প্রভাবিত হয়। সব খেলার প্রতিযোগিতাগুলি বন্ধ থাকে। প্রকোপ কিছুটা কমলে সবকিছু ফের শুরু করা হয়। খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক সফর বা খেলাগুলির জন্য করোনা মহামারীর টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়। সেই সময় বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা জকোভিচ করোনার টিকা নিতে বেঁকে বসেন। যার ফলে গত বছরের অস্ট্রেলিয়া সহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে খেলার ছাড়পত্র পাননি তিনি।
এই বছরও তাঁর খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। তবে মার্কিন প্রশাসন মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করোনার টিকা বাধ্যতামূলক নয় বলে কার্যকর করবে। যেহেতু এই বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওপেন আগস্ট মাসের শেষের দিক থেকে শুরু হবে, তাই জকোভিচ টিকা না নিলেও টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে তার কোনও বাঁধা থাকছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওপেন ২৮ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।