প্রথম ম্যাচে সুনীল নারিনের দুরন্ত বোলিং পারফরম্যান্সও কাজে আসেনি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে কায়রন পোলার্ডের অধিনায়কোচিত অর্ধশতরান ও ইসুরু উদানার আগুনে বোলিংয়ে ভর ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগে (সিপিএলে) বার্বডোজ রয়্যালসের বিরুদ্ধে মরশুমের প্রথম জয় সুনিশ্চিত করল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স।
শুরুটা খুব একটা খারাপ করেনি বার্বাডোজ, তবে ভাগ্যের সহায়তায়ই পুল করতে যাওয়া জনসন চার্লসের (১৩) উইকেট তুলে নেন ইসুরু উদানা। পরবর্তীতে দেখা যায় ব্যাটের বদল চার্লসের কাঁধে লেগেই বল উইকেটকিপার দীনেশ রামদিন কাছে যায়। তবে নিজের পরের ওভারে জেসন হোল্ডার (৩) ও গ্লেন ফিলিপ্সকে (২৪) সাজঘরে ফিরিয়ে রয়্যালসদের চাপে ফেলে দেন উদানা।
শাই হোপ (২০) ও আজম খান (৩০) দলকে কিছুটা ম্যাচে ফেরত আনার চেষ্টা করলেও শেষের দিকে মাত্র ১৯ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত বিশ ওভারে ১২২ রানই করতে পারে রয়্য়ালসরা। বল হাতে নিজের কেরিয়ারের সেরা পারফরম্যান্সে ২১ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন উদানা। রবি রামপালের দখলে আসে দু'টি উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই শূন্য রানে নারিন আউট হওয়ার পর লেন্ডল সিমন্স (৫) ও কলিন মুনরো (৮) দ্রুত সাজঘরে ফিরে যাওয়ার পর টিম সেফার্ত (১৫) আউট হলে ৩৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে গভীর মুশকিলে পড়ে নাইট শিবির। এরপরেই ব্যাটে নেমে জ্বলে উঠেন পোলার্ড। কঠিন পিচে ছয় ছক্কা ও তিনটি চারের সুবাদে ৩০ বলে ৫৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন রামদিন (২৯) নয় ওভারে তাঁদের অপরাজিত ৮৭ রানের পার্টনারশিপে ভর করে সহজেই ম্যাচ জিতে যায় নাইট বাহিনী। বার্বাডোজের হয়ে বল হাতে ২১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন পাকিস্তানের তারকা পেসার মহম্মদ আমির। পাঁচ উইকেট নেওয়ায় ম্যাচের সেরা হন উদানা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।