শুভব্রত মুখার্জি: সামনের ডিসেম্বর মাসেই বসতে চলেছে ২০২৩ সালের আইপিএলের নিলামের আসর। তার আগেই সমস্ত ফ্রাঞ্চাইজি তাদের রিটেনড ক্রিকেটারদের তালিকা ঘোষণা করেছে। চেন্নাই সুপার কিংসও তার ব্যতিক্রম নয়। তাঁদের ঘোষণা করা তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন এন জগদিশান। আর বাদ পড়ার কয়েক দিনের মধ্যেই যেন তিনি তাঁর ব্যাটে এর জবাব দিয়ে দিলেন। গড়ে ফেললেন বিশ্বরেকর্ড। আর তা করার পরেই তাঁর দাবি এই রেকর্ড নিয়ে ভাবছিই না।
ম্যাচে তাঁর করা রেকর্ড সম্বন্ধে তিনি অবহিত কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে জগদিশান জানিয়েছেন 'না না সত্যি আমি জানতাম না। আর এই রেকর্ড নিয়ে আমি ভাবিওনি, আর ভাবছিও না। আমার খালি চিন্তা ছিল ব্যাটিং নিয়েই। এতবছর যেটা করে আসছি, সেটাই করার চেষ্টা করেছি।'
বিশ্বরেকর্ড ভাঙার অনুভূতি সম্বন্ধে বলতে গিয়ে জগদিশান জানিয়েছেন 'সত্যি খুব ভালো অনুভূতি হচ্ছে।' তিনি আরও যোগ করেন 'তবে শুধু এই ম্যাচটাই নয়, অন্যান্য ম্যাচেও আমি গোটা ৫০ ওভার খেলার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছি। বিপক্ষে কে রয়েছে তা নিয়ে মাথাই ঘামাইনি। আমার কাছে একটাই পদ্ধতি রয়েছে। আর তা হল ২২ গজে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা।'
উল্লেখ্য এদিন জগদিশান অরুণাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে ১৪২ বলে ২৭৭ রান করেন। এটি তাঁর পরপর পঞ্চম শতরান। যা করে তিনি ভেঙে দেন কুমার সাঙ্গাকারার রেকর্ড। যিনি ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পরপর চারটি শতরান করেছিলেন। এদিন জগদিশানের ইনিংস সাজানো ছিল ১৫টি ছয়ে। ফলে ৫০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৫০৬ রান করে তামিলনাড়ু। জবাবে মাত্র ৭১ রানে অলআউট হয়ে যায় অরুণাচল প্রদেশ। ফলে লিস্ট-এ ম্যাচের ইতিহাসে সর্বাধিক ব্যবধানে (রানের নিরীখে) ম্যাচ জেতার নজির গড়ে তামিলনাড়ু। ওপেনিং জুটিতে সাই সুদর্শনকে সঙ্গী করে তোলেন ৪১৬ রান। যা ভেঙে দেয় ২০১৫ বিশ্বকাপে প্রথম উইকেটে ক্যারিবিয়ানদের হয়ে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে করা ৩৭২ রানের ক্রিস গেল এবং মার্লন স্যামুয়েল্সের জুটিকে।