পায়ে টেপিং কিন্তু কোনও পরোয়া নেই। প্রথমবার সিঙ্গলসে কমনওয়েলথ গোল্ড জয় করলেন পিভি সিন্ধু। স্ট্রেট গেমে উড়িয়ে দিলেন কানাডার মিশেল লি-কে। স্কোরলাইন ২১-১৫, ২১-১৩। মাত্র ৪৮ মিনিটে নিজের জাত দেখিয়ে জয় তুলে নিলেন সিন্ধু। এই মুহূর্তের জন্য যে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিক্ষা করছিলেন, জয়ের পর সেই কথাও বলেন ভারতীয় শাটলার। এর আগে ব্যক্তিগত সিঙ্গলসে গ্লাসগোতে ব্রোঞ্জ ও গোল্ড কোস্টে রুপো জিতেছিলেন তিনি। এবার এল সোনা। প্রসঙ্গত, গ্লাসগোতে সেমিতে তিনি হেরেছিলেন এই মিশেলের কাছেই। তবে সেই শেষ। তারপর এই নিয়ে লাগাতার সাতবার তাঁর কাছে বশ্যতা স্বীকার করলেন কানাডার লি।
এদিন শুরু থেকেই অ্যাটাকিং মুডে ছিলেন পিভি সিন্ধু। পায়ে চোট তাই লম্বা শট খেলার দিকে ঝুঁকতে চাননি সিন্ধু। নেটের সামনে খেলে দ্রুত পয়েন্ট শেষ করাই ছিল সিন্ধুর টার্গেট। সেই কাজে সফল হয়েছেন প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তথা বিশ্বের সাত নম্বর প্লেয়ার। লি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু একাধিক আনফর্সড এররের জেরে সহজ পয়েন্ট সিন্ধুকে উপহার দেন তিনি। প্রথম গেমের শুরুতে কিছুটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও দ্রুত খেলা ধরে নেন পিভি সিন্ধু। তিনি প্রথম গেম জেতেন ২১-১৫ পয়েন্টে যার মধ্যে একটি সময় তিনি লাগাতার পাঁচ পয়েন্ট জিতেছিলেন।
দ্বিতীয় গেমে শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন পিভি সিন্ধু। মিড গেমে ১১-৬ এগিয়ে ছিলেন তিনি, কার্যত কোনও ঘাম না ঝরিয়ে। তারপর যদিও ধীরে ধীরে খেলায় ফেরেন মিশেল। বেশ কিছু লম্বা রালিতে সিন্ধুকে হারাতে পারেন সদাহাস্য মিশেল। কিন্তু নিজের আনফর্সড এররের ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি তিনি। ফলে সর্বদাই পয়েন্টের বিচারে এগিয়ে থাকেন পিভি সিন্ধু। শেষপর্যন্ত ২১-১৩ পয়েন্টে দ্বিতীয় গেম তথা ম্যাচ জেতেন তিনি। প্রথমবারের জন্য সিঙ্গলসে সোনা জিতলেন তিনি। এর আগে এসেছে ব্রোঞ্জ ও রুপো। এবার সেই শূন্যস্থান পূর্ণ হল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।