ঘরের মাঠ ইডেনে মাত্র ১টি সেঞ্চুরি রয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামের পাশে। নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারে বোধহয় এটা সবচেয়ে বড় আফসোস বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের। ২০০৭ সালে ইডেনের মাঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন সৌরভ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শরতানের স্বাদটা অবশ্য মোটেও হেলাফেলা করার মতো নয়।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই ইনিংসের কথা দর্শকরা যেমন ভুলতে পারেননি, তেমনই হয়তো ভুলতে পারেননি সৌরভ নিজেও। মঙ্গলবার ইডেনে পুরনো স্মৃতি মনে করে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়লেন সৌরভ। নিজের সেই সেঞ্চুরির পর তোলা ছবির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুললেন সৌরভ। সেটা আবার ইনস্টাগ্রামে পোস্টও করেছেন তিনি।
সৌরভ সেই ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ইডেনে এই ছবিটা দেখলাম। এই মাঠে আমার শতরানের পর। দারুণ স্মৃতি।’ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ১৫৬ বলে ১০২ রান করেছিলেন সৌরভ। প্রথম ইনিংসে ভারত ৬১৬ রান করে ভারত। ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৪৫৬ রান তুলেছিল। ভারত ৩৪৫ রানের লক্ষ্য রাখে পাকিস্তানের সামনে। ২১৪ রানে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান। সেই অবস্থায় ম্যাচ শেষ হয়। ড্র হয়ে যায় ইডেনের টেস্ট।
সালটা ছিল ২০০৭। ২২ গজের লড়াইয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রত্যাবর্তনের বছর। প্রতিটা ম্যাচে রান পাওয়া যেন বাংলার এই ক্রিকেটারের কাছে রুটিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ৩৫ বছরের সৌরভ যে তখনই কেরিয়ারের সায়াহ্নে চলে এসেছিলেন, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ১৫ বছরের বর্ণাঢ্য কেরিয়ারের পরেও তিনি সেইসময় কার্যত ফর্মের শীর্ষে ছিলেন। কিন্তু আক্ষেপ ছিল একটাই। ক্রিকেটের নন্দনকাননে আন্তর্জাতিক ম্যাচে মহারাজের কোনও শতরান ছিল না। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটা সৌরভের সামনে সেই দরজাটাই খুলে দিয়েছিল।
টেস্টে ১৬টি শতরান আছে সৌরভের। এক দিনের ক্রিকেটে তাঁর শতরানের সংখ্যা ২২টি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিনি ১১৩টি টেস্ট, ৩১১টি এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন সৌরভ। তাঁর সংগ্রহ ১৮,৫৭৫ রান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।