ডাল ভাত চোখা। নামেই স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে করোনা ভাইরাস ঘিরে উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতির। লকডাউনে সাধারণ মানুষের পাতে এটাই এখন প্রধান সম্বল। দু'বেলা দু'মুঠো অন্ন জোটানো এই মুহূর্তে যাঁদের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের কাছে তো এটা অমৃততুল্য। তবে বাজারু মধ্যবিত্ত বাঙালিরও বৃহত্তর স্বার্থে এতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত। লকডাউন সফল করতে এটাই বার্তা শর্ট ফিল্ম 'ডাল ভাত চোখা'র।
বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক তথা প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লা বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারের। লক্ষ্মী এই মুহূর্তে রাজ্যের শাসক দলের বিধায়ক তথা মন্ত্রীও। সমাজসেবার ভাবনা এমনিতেই তার সঙ্গী। তবে লকডাউনের দিনগুলিতে ক্রিকেট আইকনদের সঙ্গে নিয়ে তিনি তৎপর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যাঁরা বাজারে ভিড় জমাচ্ছেন, তাঁদের সচেতন করতে।
চিত্রনাট্য লিখেছেন লক্ষ্মীরতন নিজে। ছবিতে কলাকুশলী হিসেবে দেখা যাচ্ছে মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদার, সৌরাশিস লাহিড়ী, সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রিকেটারদের। অভিনেতার ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে বাংলা ব্যান্ড ভূমির গায়ক সুরজিৎকেও।
বাজারের নাম করে যেসব মানুষ বাইরে বেরোচ্ছেন, তাঁরা সচেতনে আবার নিজেদের অজান্তেই কীভাবে নিজের জন্য, পরিবারের জন্য এবং সমাজের জন্য বিপদ ডেকে আনছেন, তাই দেখানো হয়েছে এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রটিতে।
লকডাউন ঘোষণার পর থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বারবার সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন অযথা বাইরে না বেরিয়ে অন্তত ডাল-ভাত খেয়ে কোনও রকমে দিন গুজরানের। তিনি নিজেও দিনের বেশিরভাগ সময় মুড়ি খেয়ে কাটিয়ে দেন বলে জানিয়েছিলেন। লক্ষীর এই শর্ট ফিল্মটিতেও কার্যত সেই বার্তাই তুলে ধরা হয়েছে।
এলআরের মতে, অযথা বাজারে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নেওয়ার থেকে বাড়িতে ডাল, ভাত, আলু সিদ্ধ খেয়ে সুস্থ থাকা উচিত। লক্ষ্মী বলেন, ‘আমরা সবাই লড়াই চালাচ্ছি করোনার বিরুদ্ধে। তাই এই শর্ট ফিল্ম তৈরীর পরিকল্পনা মাথায় আসে। দীর্ঘদিন আমরা একসঙ্গে ক্রিকেট খেলেছি। তাই মনোজদের জানাতে ওরা রাজি হয়ে যায়। সবাই বাড়িতে থেকেই শুটিং করেছি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।