মাঝে আইপিএল চলাকালীন তাঁর ফর্ম নিয়ে বেশ চর্চা হলেও, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং চলতি অ্যাসেজ সিরিজ ব্যাট হাতে গর্জে উঠে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে সদ্য ৩৫-এ পাওয়া দেওয়া ওয়ার্নারের কেরিয়ার ধীরে ধীরে অন্তিম পর্যায়ে এগোচ্ছে। নিজের অবসর নিয়ে কী ভাবছেন অজি তারকা ওপেনার?
মেলবোর্নে ইংল্যান্ডকে দুরমুশ করে অ্যাসেজ সিরিজ নিজেদের পকেটে পুরলেও, এখনও ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ অধরা ওয়ার্নারের। অবসরের কথা উঠতেই সেই বিষয়টি মনে করে দিয়ে ওয়ার্নার বলেন, ‘এখনও ভারতের মাটিতে সিরিজ জয় বাকি রয়েছে। ওই জয়ের অনুভূতিটা বেশ ভাল হবে। পাশপাশি অবশ্যই ইংল্যান্ডের মাটিতে আসন্ন অ্যাসেজ সফরে (২০২৩ সালে) জয়। ২০১৯ সালের সফরটা স্বপ্নের মতো ছিল, তবে যদি ভাগ্যবশত পরবর্তী সিরিজে খেলার সুযোগ পাই, তাহলে অবশ্যই আমি পুনরায় ওখানে খেলতে আগ্রহী।’
ভারত এবং ইংল্যান্ডের মাটিতে মোট পাঁচটি সিরিজে ২১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন ওয়ার্নার। তবে পাঁচটির মধ্যে চারটি সিরিজেই মিলেছে পরাজয়। ব্যক্তিগতভাবে ব্যাটার ওয়ার্নারের রেকর্ডও দুই জায়গার কোথাও তেমন ভাল নয়। ইংল্যান্ডে যেখানে তাঁর ব্যাটিং গড় ২৬, ভারতের মাটিতে সেখানে তা নেমে যায় আরও নীচে ২৪-এ। দুই দেশের কোথাও একটিও শতরান নেই তাবড় অজি ওপেনারের দখলে। তাই ওয়ার্নারের এই দুই সফরকে পাখির চোখ করার কারণ বুঝতে খুব একটা অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।
পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে ওয়ার্নারের মতে বয়স একেবারেই কোনো বাধা নয়। জেমস অ্যান্ডারসনের উদাহরণ দিয়ে তাঁর দাবি, ‘আমার মতে বর্ষীয়াণ ক্রিকেটারদের জন্য জেমস অ্যান্ডারসন বেঞ্চমার্কটা সেট করে দিয়েছেন। আমরা ওকে দেখেই অনুপ্রাণিত হই। তবে আমার ক্ষেত্রে নিজের সেরাটা দিয়ে রান করাটাই আসল। আমি ভাল ছন্দে রয়েছি। আগেও বলেছিলাম আমি রান করতে না পারলেও ফর্মেই ছিলাম। সুতরাং, আশা করছি আসন্ন বছরেও আমি আরও রান করে নিজের পরিসংখ্যানটা কিছুটা ভাল করতে সক্ষম হব।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।