শুভব্রত মুখার্জি: প্রায় তিন বছর তাঁর ব্যাটে ছিল না কোনও আন্তর্জাতিক শতরান। তিন বছর পরে সেই খরা কাটালেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ১০৪৩ তিন পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২২ গজে শতরান হাঁকালেন তিনি। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর ইনিংস এবং তাঁর ওপেনিং পার্টনার ট্রাভিস হেডের ইনিংসে ভর করে এদিন বড় ব্যবধানে জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া।
প্রসঙ্গত এমন দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শতরানের মধ্যে ছিলেন না ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। তিনি এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে শতরান করে সেই খরা কাটিয়েছেন। সদ্য শেষ হওয়া টি-২০ বিশ্বকাপেও দারুণ ফর্মে ছিলেন বিরাট। করেছেন ২৯৬ রান। অন্যদিকে ওয়ার্নার শতরান না করলেও তিনি খারাপ ফর্মে ছিলেন না। ধারাবাহিকভাবে জাতীয় দলের হয়ে রানটা করে গিয়েছেন তিনি। বিরাট অবশ্য মাঝে বেশ কিছুটা সময় ফর্মহীনতায় ভুগেছিলেন।
এদিন এমসিজিতে ইংল্যান্ড বোলারদের পিটিয়ে কার্যত ছাতু করেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং তাঁর ওপেনিং পার্টনার ট্রাভিস হেড। দুজনেই শতরান করেছেন। ওয়ার্নার ১০২ বল খেলে করেছেন ১০৬ রান। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৮টি চার এবং দুটি ছয়ে। ১০৩.৯২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন তিনি। অপরদিকে ট্রাভিস হেড ছিলেন মারকাটারি ফর্মে। ১৩০ বলে ১৫২ রান করেন তিনি। তিনি হাঁকান ১৬ টি চার এবং চারটি ছয়। ওলি স্টোনের বলে মারতে গিয়ে ডেভিড উইলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার। তার আগে ওপেনিং জুটিতে তাঁরা করে ফেলেছেন ২৬৯ রান। ৩৮.১ ওভারে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়া তাঁদের নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৫৫ রান করে। জবাবে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে ৩১.৪ ওভারে ১৪২ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ফলে ডাক ওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে তাঁদের ২২১ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।