শুরুটা দারুণ হয়েছিল। কিন্তু বেশিদিন সুযোগ মেলেনি। সেই ২০১৭ সালের মার্চে ভারতীয় দলের হয়ে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন। তারপর তো এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে টিম ইন্ডিয়ার কাছাকাছি বৃত্তেও নেই। এবার রঞ্জি ট্রফিতেও কর্ণাটকের দলে সুযোগ মেলেনি। তারপরই করুণ নায়ার যে টুইট করলেন, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যার দিকে টুইটারে একটি আবেগমাখা বার্তায় নায়ার লেখেন, 'প্রিয় ক্রিকেট, আমায় একটা সুযোগ দাও।' সেইসঙ্গে 'ফিঙ্গার ক্রসড'-র একটি ইমোজি পোস্ট করেন নায়ার। তবে কোন প্রসঙ্গে সেই টুইট করেছেন, তা খোলসা করেননি কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) প্রাক্তন ক্রিকেটার। সংশ্লিষ্ট মহলের মত, আসন্ন রঞ্জি ট্রফির প্রথম দুই ম্যাচে কর্ণাটকের দলে সুযোগ না পেয়েই সম্ভবত সেই টুইট করেছেন নায়ার। কারণ কর্ণাটকের দল ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই নায়ারের অ্যাকাউন্ট থেকে সেই টুইট ভেসে এসেছে।
তারইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নায়ারের টুইট। যিনি ভারতের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন। নায়ারের সমর্থনে অনেকেই টুইট করেছেন। তাঁকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। প্রাক্তন ভারতীয় পেসার বা কর্ণাটকের প্রাক্তন খেলোয়াড় ডোড্ডা গণেশ বলেন, 'মন শক্ত কর, করুণ। তুমি আবার ফিরে আসবে। তুমি এখনও দারুণ মানের ব্যাটার।' অপর একজন বলেন, 'কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাও করুণ। তোমার সামনে একদিন সুযোগ আসবেই।'
অনেকে আবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, 'ভারতের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন। গড় ৬২-র বেশি। কিন্তু মাত্র ছ'টি টেস্টের পর তাঁকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন? কারও কারও তো গড় ২৭ থাকা সত্ত্বেও গত তিন বছর ধরে লাগাতার টেস্ট খেলে যাচ্ছেন। এই বিভাজন কেন?' অপর এক নেটিজেন আবার বলেন, 'আপনাকে লাগাতার ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করতে হবে। পৃথ্বীর মতো খেলোয়াড় সুযোগ পাচ্ছেন না, তোমার কথা তো ভুলে যাও। নেতিবাচক দিক থেকে এটা বলছি না। কিন্তু (ভারতীয় দলে) সুযোগ পেতে তিনগুণ পরিশ্রম করতে হবে।'
উল্লেখ্য, ভারতের জার্সিতে মোট ছ'টি টেস্ট খেলেছেন করুণ। করেছেন মোট ৩৭৪ রান। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩০৩ রান করেছিলেন। দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু ২০১৭ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টের পর ভারতীয় দলের জার্সি পরে আর লাল বলের ক্রিকেট খেলেননি। একদিনের ক্রিকেটে তো ভারতের হয়ে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেছেন। শেষ ম্যাচটি খেলেছিলেন ২০১৬ সালের জুনে।
সম্প্রতি তেমন ছন্দেও নেই করুণ। আইপিএলে তেমন দাগ কাটতে পারেননি। মহারাজা টি-টোয়েন্টি লিগেও আহামরি পারফরম্যান্স করেননি। মাইসুরু ওয়ারির্সের হয়ে ১২ ম্যাচে ২৫৭ রান করেছিলেন। গড় ছিল ২৩.৩৬। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৬.০২। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯১ করেছিলেন নায়ার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।