শুভব্রত মুখার্জি: সাম্প্রতিক সময় ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফাইনাল খেলা দেখেছেন ফুটবল ভক্তরা সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে। বাংলা বনাম কেরল ফাইনাল নিয়ে ফুটবল ভক্তদের মধ্যে যে ধরনের উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল তা এককথায় অভাবনীয়। যার ফলস্বরূপ ডিজিটাল মিডিয়া হোক কিংবা মাঠে উপস্থিত হয়ে ফাইনাল চাক্ষুষ করা প্রায় সবক্ষেত্রেই এই উন্মাদনা পরিলক্ষিত হয়েছে। ফাইনালে এগিয়ে গিয়ে পেনাল্টি শুট আউটে কেরালার কাছে হার স্বীকার করতে হয়েছে বাংলা দলকে। তবে দল হারলেও ও কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য মনে করেন সঠিক দিশাতেই এগোচ্ছে বাংলার ফুটবল।
কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য মনে করেন যে দিশাতে বাংলার ফুটবল এগোচ্ছে তাতে করে তিনি আশাবাদী বাংলার ফুটবলের অতীতের হৃৎ গৌরব পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। ৯০ মিনিটে খেলা ০-০ থাকার পরে অতিরিক্ত সময়ে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলা। অতিরিক্ত সময়ের ম্যাচ শেষ হওয়ার ৩ মিনিট আগেই তারা গোল হজম করছ বসে। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি শুট আউটে ৫-৪ ফলে তাদের হারতে হয়। কেরলের মাঞ্জেরির পায়ান্নাড স্টেডিয়ামে এই ফাইনালকে ঘিরে উৎসাহ, উন্মাদনা ছিল দেখার মতন।
ফাইনাল ম্যাচে হেরে শহরের বুকে পা রেখেই বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন 'আমরা হয়ত ফাইনালটা হেরে গিয়েছে তবে আমার টিমের পারফরম্যান্স এটা দেখিয়ে দিয়েছে বাংলার ফুটবল কতটা উন্নতি করতে সমর্থ হয়েছে। কয়েক মাস আগেও তো সবাই মনে করেছিল বাংলার ফুটবলের গ্রাফ নিম্নমুখী। তবে আমরা কিন্তু চ্যালেঞ্জটা গ্রহণ করেছি এবং তার যথাযথ উত্তর পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে দিয়েছি। কেরলেতে ওই ফাইনাল দেখিয়ে দিয়েছে আমাদের ফুটবলের 'রিভাইভাল' সঠিক পথেই এগোচ্ছে।'
তিনি আরও যোগ করেন 'আমরা একাধিক গোল করার সুযোগ তৈরি করেছিলাম। প্রথমার্ধেই তো আমরা গোল করার পাচটা ক্লিয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। ওখানে যদি দুটো সুযোগও কাজে লাগাতে পারতাম দৃশ্যপটটাই আমাদের জন্য বদলে যেত। কোনও কোনও সময় তুমি যা চাও তা পাওয়ার আগেই তোমাকে থেমে যেতে হয়। এটাই জীবন। এটাকে মেনে নিয়েই এগোতে হবে।'