দীর্ঘদিন আইসিসির কোনও ট্রফি জয়ের স্বাদ পায়নি ভারত। শেষবার মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পায় ভারত। তারপর থেকে শুধুই ট্রফির খরা। অধিনায়ক বদল হয়েছে। বিরাট জামানা গিয়েছে। রোহিত নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারতীয় দলকে। তবুও ট্রফির ক্ষেত্রে ভারতের কিছুই বদল হয়নি। কয়েকবার ট্রফির কাছাকাছি পৌঁছেও খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে হারতে হয়েছে শ্রীলঙ্কার কাছে ।
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের কাছে হারতে হয়েছে। ২০২১ সালে প্রথম বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে রানার্স হয় টিম ইন্ডিয়া। মাঝখানে ২০১৫, ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্যন্ত যায় ভারতীয় দল। ২০১৬ ও ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে। মাঝখানে ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নকআউটে জায়গা করতে পারেনি ভারত। সব পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায় তীরে এসে তরী ডুবেছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের । এই নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার উপর দিয়ে।
সামগ্রিকভাবে দেখতে গেলে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স খুব একটা খারাপ নয়। তবে শেষ পর্যন্ত জয়ী দলকেই মনে রাখে সবাই। তাই সমালোচনায় পড়তে হয়েছে জাতীয় ক্রিকেটারদের। তবে ভারতীয় দলের সদস্য রবিচন্দ্রন অশ্বিন সমালোচনা শুনতে নারাজ। বিরাট ও রোহিতের পাশে তিনি দাঁড়িয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন কোনও আইসিসি ট্রফি দিয়ে বিশ্বমানের কোন ক্রিকেটারকে বিচার করা উচিত নয়। তাদের সময় দেওয়া উচিত। তিনি সচিন তেন্ডুলকরের উদাহরণ টেনে এনে বলেন, ‘বিশ্বকাপ জেতার জন্য সচিনকে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছে। ২০১১ সালে ভারত বিশ্বকাপ জেতে। সেটাই মাস্টার ব্লাস্টারের কেরিয়ারে শেষ বিশ্বকাপ।’
দীর্ঘ ২৮ বছর পর ভারতের ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জয়ের নেতৃত্ব ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ক্যাপ্টেন কুলের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মহেন্দ্র সিং ধোনি এমন এক অধিনায়ক যে প্রথম পদক্ষেপেই বিশ্বকাপ জিতেছে। তার মানে এই নয় যে, এটি সবার সঙ্গেই ঘটবে।’
অশ্বিন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, ‘রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা ২০০৭ সালে খেলেনি। রোহিত শর্মা ২০১১ বিশ্বকাপ খেলেনি। শুধুমাত্র কোহলি ২০১১, ২০১৫, ২০১৯ সালে খেলেছে। এখন বিরাট ২০২৩ সালে তাঁর চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলবে। সবাই বলে আইসিসির কোনও টুর্নামেন্ট ওরা জিততে পারেনি। বিরাট ২০১১ সালে জিতেছে। রোহিত শর্মা ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জিতেছে। তাই আমাদের উচিত ওদের সময় দেওয়া। ওঁরা আইপিএল-সহ অন্যান্য অনেক বড় বড় ম্যাচ খেলেছে। আইসিসি ট্রফির কথা যখন ওঠে তখন ওদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।