অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর হয়তো এবার ফরাসি ওপেনের দরজাও বন্ধ হয়ে চলেছে নোভাক জকোভিচের জন্য। ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন না নিলে ফরাসি ওপেনে অংশ নিতে পারবেন না সার্বিয়ান সুপারস্টার। ফরাসি সরকার সোমবার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে রাখল যে সংক্রমণ ঠেকাতে তারা টিকাকরণেই জোর দিচ্ছে। টিকা না নিলে নানা সুবিধা থেকেই বঞ্চিত হতে হবে মানুষকে। এদিকে ফরাসি ওপেনের আসর বসবে মে মাসে। ফ্রান্স সরকারে এই নির্দেশিকা জারি হওয়ায় চাপে পড়েছেন জোকার।
সোমবারই ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, টিকা সংক্রান্ত একটি আইন পাশ করেছে ফ্রান্স। যেখানে বলা হয়েছে, রেস্তরাঁ, কাফে, সিনেমা হল, দূরপাল্লার ট্রেনের মতো জনবহুল জায়গায় প্রবেশের জন্য টিকাকরণের সার্টিফিকেট আবশ্যক। দর্শক থেকে ক্রীড়াবিদ, সকলের জন্যই একই নিয়ম লাগু করা হবে। তাই প্রত্যেককেই এই কোভিডবিধি মানতে হবে। কিন্তু সমস্যা হল জকোভিচ এখনও করোনার ভ্যাকসিন নেননি। নিতে চানও না।
জকোভিচের টিকাকরণ না হওয়া সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষের তরফে বিশেষ ছাড়পত্র পেয়ে মেলবোর্ন উড়ে গিয়েছিলেন জকোভিচ। কিন্তু সেখানে জোকারকে আটকে দেওয়া হয়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, সার্বিয়ার তারকার ভিসার আবেদনপত্রে ভুল থাকায় তাঁকে বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। ঘটনার জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। দু’বার বাতিল করে দেওয়া হয় জকোভিচের ভিসা। যার জেরে তাঁকে রাত কাটাতে হয় ডিটেনশন সেন্টারেও। শেষমেশ আইনি লড়াইয়ে হেরে মাথা নত করেই অস্ট্রেলিয়া ছাড়েন জকোভিচ। এবার ফরাসি ওপেনে তাঁর সঙ্গে কী হয় সেটাই দেখার। নাকি তার আগে জকোভিচ ভ্যাকসিন নেন সেদিকে তাকিয়ে গোটা ক্রীড়াবিশ্ব।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।