রবি শাস্ত্রী ভারতের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বহু উত্থান এবং পতন দেখেছেন। ২০১৮/১৯ এবং ২০২০/২১ অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাক-টু-ব্যাক টেস্ট সিরিজ জয় শাস্ত্রীর অন্যতম সাফল্য। উভয় ক্ষেত্রেই, ভারত বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি জিতেছে। যদিও এই সিরিজ জয় স্মরণীয় হয়ে থাকবে ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে। আর এই সিরিজের একটি ম্যাচে জীবনের সবচেযে বড় জুয়া খেলেছিলেন শাস্ত্রী। আজও তিনি সেটা ভুলতে পারেননি। বিরাটের প্রাক্তন প্রধান কোচ সেটাই জানালেন।
শাস্ত্রী জানান, ‘২০১৯ সালে একটি দুর্দান্ত সিরিজ খেলে ছিলাম। সেই সফরে আমরা দেখেছি যে আমরা যদি ভালো শুরু করি তাহলে আমরা জেতার সুযোগ পাব। আমরা যদি অস্ট্রেলিয়াকে তাড়াতাড়ি আউট করতে পারি তাহলে ম্যাচ জয়ের দারুণ সুযোগ আছে। আমরা অ্যাডিলেডে জিতেছি।’ ভারত অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্ট ৩১ রানে জিতেছিল। অস্ট্রেলিয়া পার্থে তাদের ১৪৬ রানে পরাজিত করেছিল। বক্সিং ডে টেস্টে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ১৩৭ রানের ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল দ্য মেন ইন ব্লু। এই ম্যাচেই শাস্ত্রী ভারতের কোচ হিসেবে তার 'সবচেয়ে বড় জুয়া' খেলেছিলেন। সেটাই স্বীকার করলেন ভারতের প্রাক্তন কোচ।
শাস্ত্রী জানান, ‘হ্যাঁ, আমরা পার্থে হেরেছি যেখানে উইকেট তাদের বোলিংয়ের সহায়ক ছিল। ওরা যেন আমাদের উপর হাতুড়ির প্রহার করেছিল। বিরাট একটি অসামান্য ইনিংস খেলেছেন। তারপরে মেলবোর্ন গিয়েছিলাম… আমার মনে হয়েছিল জাদেজা ইনজুরি থেকে ফিরে এসেছিলেন। অ্যাশ ইনজুরিতে পড়েছেন। তাই আমাদের সম্পূর্ণভাবে অন্য দিক বেছে নিতে হয়েছিল। সিরিজ তখনও ১-১ ব্যবধান চলছিল। কোচ হিসেবে আমার মেয়াদে এটাই ছিল আমার জন্য সবচেয়ে বড় জুয়া। আমাদের ওপেনাররা লড়াই করছিল, তাই আমরা বলেছিলাম যে তাদের আরেকটি টেস্টের জন্য রাখাটা তাদের জন্য চাপের হবে এবং প্রতিপক্ষকে এগিয়ে দেবে।’
এরপরে শাস্ত্রী বলেন, ‘তাই আমরা ২ জন নতুন খেলোয়াড় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলান। মায়াঙ্ক আগরওয়াল… আপনি জানেন, তিনি মাত্র ৩ দিন আগে নেমেছিলেন এবং আমি তাকে বলেছিলাম আপনি খেলবেন। শুধু এটাকে অস্ট্রেলিয়া ভাববেন না এবং মনে করুন এটা অন্য খেলা এবং আপনি সেই ফর্মটি ধরে রেখেছেন। আর হনুমা খুব ভালো ওপেনারের কাজটা করেছিলেন। তিনি হয়তো খুব একটা বেশি রান পাননি কিন্তু একজন ওপেনিং ব্যাটার হিসেবে সেই সেশনের কঠিনতম কাজটা তিনি করে দিয়েছিলেন। বাকিটা ইতিহাস।’