শুভব্রত মুখার্জি: স্কুল হোক বা কলেজ সব জায়গাতেই 'বাধ্য' ছাত্র বা ছাত্রীরাই মাস্টারমশাই অথবা প্রফেসরদের প্রিয় হন। ঠিক সেইভাবেই এক 'বাধ্য' রোগীও সবসময় ডাক্তারবাবুর প্রিয় হন। প্রসঙ্গত গত বছর ডিসেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সৌরভকে নিয়ে উদ্বেগ ছিল চিকিৎসক মহলে। হৃদযন্ত্রে সমস্যার কারণে সৌরভের বুকে স্টেন্ট বসেছে। ফলে তারপরেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার ফলে হার্টের সমস্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে সৌরভের ক্ষেত্রে বিশেষ কোনও জটিলতা তৈরি হতে দেখা যায়নি এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসক।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। করোনাকালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন সৌতিক পান্ডা। এক সংবাদমাধ্যমকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সম্বন্ধে বিশদে জানালেন ডাক্তার সৌতিক পান্ডা। তিনি জানিয়েছেন ‘সৌরভ যখন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে আসেন, তখনও ওমিক্রন সক্রিয় ছিল না। তখনও আমরা জানতাম, ডেল্টায় আক্রান্ত হচ্ছেন রোগীরা। সৌরভের স্বাদ এবং গন্ধের অনুভূতি ছিল না। এই উপসর্গগুলি ওমিক্রনে দেখা যায় না। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি সৌরভের ক্ষেত্রে মোনোক্রোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি প্রয়োগ করব।’
তিনি আরও জানান 'যে কোনও হার্টের রোগী করোনা আক্রান্ত হলে ঝুঁকি থাকে। তবে আমি এখানে একটা কথা বলব, সৌরভের মতো রোগী পাওয়া চিকিৎসকদের জন্য ভাগ্যের। কারণ তিনি অত্যন্ত বাধ্য রোগী। নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করেন। সঠিক সময়ে ওষুধ খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস রয়েছে ওনার। খুব প্রশংসার যোগ্য। সৌরভের জীবনধারা প্রশংসনীয়। যেহেতু বছরখানেক আগেই ওঁর বুকে স্টেন্ট বসেছে, ফলে ওকে দ্রুত সুস্থ করে তোলা প্রয়োজন ছিল। সেই জন্যেই ককটেল থেরাপির সাহায্য নেওয়া হয়েছিল।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।