দল হেরেছে, তার দায় কার। কোচ, অধিনায়ক, ক্রিকেটার নাকি নির্বাচক মন্ডলী। তবে দল যদি কোনও ম্যাচ বা সিরিজ হারে তার সমস্ত দায় প্রথমে গিয়ে পড়ে দলের কোচের উপর। ঠিক যেমন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ হারের পরে বাংলাদেশের সব রাগ গিয়ে পড়েছিল দলের কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর উপর। একটা বা দুটো নয়, তাঁর কোচিং কালে পরপর তিনটে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টেস্ট সিরিজ হার, পরে নিউজিল্যান্ড এবং একদম শেষে শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ হেরেছে টিম বাংলাদেশ। এরপরেই কাঠগোড়ায় তোলা হচ্ছে বাংলাদেশ দলের কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে।
২০১৯ সালের ১৭ই অগস্ট বাংলাদেশ দলের কোচিং দায়িত্ব পেয়েছিলেন রাসেল। ২বছরের জন্য তাঁর সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তাঁকে দীর্ঘ সময় দলের সঙ্গে পাওয়া যাবে ও দলের উপকারে আসবে বলেই তাঁর সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হুসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার রাসেলই একমাত্র কোচ ছিলেন যিনি বাংলাদেশের ঢাকায় এসে কোচ হওয়ার জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন।
প্রথমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজ তারপর নিউজিল্যান্ডে ভরাডুবির এবং শেষে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও টেস্ট সিরিজে পরাজয়। বাংলাদেশ দলও তাঁরে প্রোটিয় কোচ নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে। অনেকেই বলছেন তাহলে কি কোচ নির্বাচনে কোনও ভুল করে ফেললেন তাঁরা। সকলেই বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতার জন্য বলির পাঁঠা করতে চাইছেন দলের প্রধান কোচকেই।
এমন অবস্থায় দলের কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশ দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও বর্তমানে শ্রীলঙ্কা সিরিজে বাংলাদেশের তরফ থেকে যাওয়া গেম ডেভেলপমেন্ট চেয়ারম্যান খালিদ মাহমুদ। তিনি জানান, আমরা দলের কোচের উপর দায় দিতে পারিনা। কোচ দলের একটা অংশ মাত্র। দল ব্যর্থ হলে শুধু কোচের সম্পূর্ণ দায় থাকেনা। সকলকেই ভাল মন্দের দায় নিতে হবে। আমি বলতে পারি উনি চেষ্টা করছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।