ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে রোহিত শর্মাকে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি করতে দেখার পর নিজের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি নিয়ে মজাদার এক গল্প শোনালেন বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় থাকা বীরু জানান, ২০০৪ সালের মুলতান টেস্টে ব্যাট করার সময় সচিন তেন্ডুলকর তাঁকে শাসিয়েছিলেন এই বলে যে, ছক্কা মারলেই ব্যাট দিয়ে পেটাবেন।
মুলতানের সেই টেস্টে ব্যক্তিগত ৯৫ রানের মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা সেহওয়াগ শোয়েব আখতারকে পরপর দু'টি বলে চার ও ছক্কা মেরে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন। সেই সময় নন-স্ট্রাইকার প্রান্তে ছিলেন আকাশ চোপড়া। আকাশ আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন দ্রাবিড়। রাহুল তাড়াতাড়ি সাজঘরে ফিরলে ব্যাট করতে নামেন সচিন।
তেন্ডুলকর যখন ব্যাট করতে নামেন, সেহওয়াগের ব্যক্তিগত সংগ্রহ তখন ১১৭ রান। ক্রিজে এসেই সচিন দেখেন সেহওয়াগ ১২২ রানের মাথায় দাঁড়িয়ে ছক্কা হাঁকান সাকলিন মুস্তাককে। তেন্ডুলকর সঙ্গে সঙ্গে বীরুকে সতর্ক করেন এই বলে য, ‘ছক্কা মারা যাবে না। যদি ছক্কা মেরেছ, তবে আমি ব্যাট দিয়ে পেটাব তোমাকে।’
সচিনের কথা মতোই তুলে মারা বন্ধ করেন সেহওয়াগ। বীরু যখন ব্যক্তিগত ট্রিপল সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়িয়ে, তখন আরও একবার সেহওয়াগকে ছক্কা মারার চেষ্টা করেত নিষেধ করেন সচিন। সেহওয়াগকে তিনি বলেছিলেন যে, ‘ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হলে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরি করার সুযোগ নষ্ট হবে।’
সেহওয়াগ তখন সচিনকে বলেন, 'আমি এখনই প্রথম ভারতীয় হিসেবে ২৯৫ রান করে ফেলেছি। নতুন কী আর হবে।' সচিনের কথা অমান্য করেই সেহওয়াগ সাকলিনকে ছক্কা হাঁকিয়ে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুলতানে।
ওভাল টেস্টে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বীরু জানান, আসলে মুলতান টেস্টের কিছুদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মেলবোর্ন টেস্টে ১৯৫ রানের মাথায় ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়েছিলেন তিনি। তাই সচিন তাঁকে বারবার সতর্ক করেন। বীরু এও জানন যে, সচিনের কথা মতোই মুলতান টেস্টে দীর্ঘ সময় ধৈর্য্য ধরেছিলেন তিনি। তবে ত্রিশতরানের আগে আর ছক্কা মারার লোভ সামলাতে পারেননি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।