ভারত বনাম পাকিস্তান মুখোমুখি হওয়া মানেই, ভক্ত এবং বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উন্মাদনা একেবারে আকাশছোঁয়া হয়ে যায়। এমন কী প্লেয়ারদের উপর এই ম্যাচের চাপ মারাত্মক থাকে। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের সময়ে কিছুটা আবেগের কারণেই প্রায় সময়ে প্লেয়াররা একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এমন ঘটনা আকছার রয়েছে।
২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। যেখানে শান্ত স্বভাবের রাহুল দ্রাবিড়ও তাঁর ধৈর্য্য এবং মেজাজ হারিয়ে পাকিস্তানের তারকা পেসার শোয়েব আখতারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। এই ঘটনাটি শোয়েব আখতারকে অবাক করে দিয়েছিল। কারণ তিনি দ্রাবিড়কে সব সময়ে শান্ত স্বভাবের মানুষ হিসেবেই জানতেন।
আরও পড়ুন: সচিনকে আমি চিনতামই না, সাকলিন ওর কথা বলেছিলেন- কিংবদন্তিকে নিয়ে আজব দাবি শোয়েবের
স্টার স্পোর্টসের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পোস্ট করা একটি ভিডিয়োতে শোয়েব আখতার বলেছেন, ‘ক্রিকেটের জেন্টলম্যানকে প্রথম বার আমি এমন আচরণ করতে দেখেছিলাম। ও সেই ম্যাচে আমার সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিল। আমরা একে অপরের দিকে তেড়ে যাই। এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ি। তার আগে যখন আমি বল করতে দৌড়ে যাই, ঠিক তার আগের মুহূর্তে মহম্মদ কাইফ সরে যান। আমি ওকে কিছু বলিনি। কিন্তু আমার খুব রাগ হয়েছিল। তাই আমি ওকে এবং যুবরাজকে আউট করেছি।’
আরও পড়ুন: যন্ত্রণা রয়েছে, প্লিজ প্রার্থনা করুন- হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতর মিনতি শোয়েবের
প্রাক্তন ফাস্ট বোলার আরও যোগ করেছেন, ‘আমরা সেই ম্যাচটা জেতার জায়গায় ছিলাম। তখন দ্রাবিড় হঠাৎই আমার দিকে তেড়ে আসে। প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল। আমি ওকে বলেছিলাম, কেন এত উত্তেজিত হয়ে পড়ছ রাহুল? জানি গোটা বিশ্বে আবহাওয়া বদলাচ্ছে। কিন্তু তুমিও লড়াই করতে পারো, এটা ভাবতেই পারছি না। সত্যিই অসাধারণ ঘটনা ছিল সেটা।’
সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ভারতীয় দল ৪৯.৫ ওভারে ২০০ রান করার পরে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। যেখানে দ্রাবিড় সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেছিলেন। পাকিস্তানের হয়ে চার উইকেট নিয়েছিলেন শোয়েব আখতার। খুব বেশি রানের লক্ষ্য না থাকলেও, পাকিস্তানকে কিন্তু লড়াই করে ম্যাচ জিততে হয়েছিল। ৪ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ম্যাচটি জিতেছিল পাকিস্তান।