পশ্চিমাঞ্চল বনাম মধ্যাঞ্চলের প্রথম সেমিফাইনালে যদি বোলারদের দাপট দেখা যায়, তবে দলীপ ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথম দিনে ছড়ি ঘোরালেন ব্যাটসম্যানরা। সালেমে দক্ষিণাঞ্চল বনাম উত্তরাঞ্চলের ম্যাচের প্রথম দিনেই জোড়া সেঞ্চুরির সাক্ষী থাকলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
টস জেতে দক্ষিণাঞ্চল:
দলীপ ট্রফির দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টস জেতে দক্ষিণাঞ্চল। ব্যাটিং পিচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণাঞ্চলের ক্যাপ্টেন হমুনা বিহারী।
সেঞ্চুরি করেন ওপেনার রোহন:
ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে রোহন কুন্নুমাল ১৪৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে আউট হন। ২২৫ বলের ইনিংসে তিনি ১৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। রোহন ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৭৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকে যান ১১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৭২ বলে।
হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া মায়াঙ্কের:
অপর ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির দোরগোড়া থেকে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ বলে ৪৯ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে আউট হন।
সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন বিহারী:
ক্যাপ্টেন হনুমা বিহারী ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০৮ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২০৮ বলে। প্রথম দিনের শেষে তিনি নট-আউট থাকেন ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২২০ বলে ১০৭ রান করে।
প্রথম দিনেই তিনশো টপকায় দক্ষিণাঞ্চল:
প্রথম দিনের শেষে দক্ষিণাঞ্চল ৯০ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৩২৪ রান তোলে। বাবা ইন্দ্রজিৎ ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৭ বলে ২০ রান করে নট-আউট থাকেন।
উত্তরাঞ্চলের কারা উইকেট পেলেন:
প্রথম দিনে উত্তরাঞ্চলের হয়ে ৫১ রানে ১টি উইকেট নেন নভদীপ সাইনি। ৭৮ রানে ১টি উইকেট নিয়েছেন নিশান্ত সিন্ধু। উইকেট পাননি সিদ্ধার্থ কউল, হিমাংশু রানা, মায়াঙ্ক ডাগর, যশ ধুলরা।