প্রথম ইনিংসে পশ্চিমাঞ্চল অল-আউট হয়ে যায় ২৫৭ রানে। পালটা ব্যাট করতে নেমে মধ্যাঞ্চল তাদের প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৮ রানে। দ্বিতীয় দিনের শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩০ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছে পশ্চিমাঞ্চল। সুতরাং, দলীপ ট্রফির প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচের প্রথম ২ দিনে সাকুল্যে ২৩টি উইকেট পড়ে। বোঝাই যাচ্ছে যে, পিচ ব্যাটিংয়ের অনুকূল নয় মোটেও।
যদিও পৃথ্বী শ-র ব্যাটিং দেখে একবারের জন্যও মনে হয়নি বাইশগজে ব্যাটিং করা কঠিন বলে। বরং যে রকম টি-২০ ক্রিকেটের ঢংয়ে ব্যাট চালিয়ে গেলেন পৃথ্বী, তাতে বোলারদের অসহায় মনে হচ্ছিল তাঁর সামনে। যশস্বী জসওয়াল, অজিঙ্কা রাহানেরা যেখানে দু'দিনে দু'বার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন, সেখানে প্রথম ইনিংসে ঝড়ের গতিতে হাফ-সেঞ্চুরি ও দ্বিতীয় ইনিংসে চোখের পলকে সেঞ্চুরি করেন পৃথ্বী।
সেমিফাইনালের প্রথম ইনিংসে পৃথ্বী শ ১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭৮ বলে ৬০ রান করে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ১১টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৮৮ বলে শতরানের গণ্ডি টপকে যান। দিনের শেষে তিনি অপরাজিত থাকেন ৯৬ বলে ১০৪ রান করে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পৃথ্বী দলীপ ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ১১টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১২১ বলে ১১৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।
আরও পড়ুন:- India Maharajas vs World Giants: ইডেনে চেনা মেজাজে ইউসুফ, দাপুটে জয় ইন্ডিয়ার
পশ্চিমাঞ্চল বনাম মধ্যাঞ্চল ম্যাচের গতিবিধি:
প্রথম দিনে পশ্চিমাঞ্চল তাদের প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান তোলে। দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে তারা অল-আউট হয়ে যায় ২৫৭ রানে। পৃথ্বী ৬০ ও রাহুল ত্রিপাঠী ৬৭ রান করেন। ৫টি উইকেট নেন কুমার কার্তিকেয়া।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মধ্যাঞ্চল তাদের প্রথম ইনিংসে ১২৮ রানে গুটিয়ে যায়। মধ্যাঞ্চলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৪ রান করেন করণ শর্মা। ১৯ রান করেন শুভম শর্মা। পশ্চিমাঞ্চলের হয়ে জয়দেব উনাদকাট ও তনুষ কোটিয়ান ৩টি করে উইকেট দখল করেন। ২টি উইকেট নেন অতীত শেঠ।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১২৯ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে পশ্চিমাঞ্চল। তারা দ্বিতীয় দিনের শেষে ৩ উইকেটে ১৩০ রান তুলেছে। পৃথ্বী সেঞ্চুরি করলেও যশস্বী জসওয়াল ৩, অজিঙ্কা রাহানে ১২ ও রাহুল ত্রিপাঠী ০ রানে আউট হয়েছেন। ৭ রানে নট-আউট থাকেন আরমান জাফর। ২টি উইকেট নিয়েছেন অঙ্কিত রাজপুত। পশ্চিমাঞ্চলের হাতে লিড রয়েছে ২৫৯ রানের।