বোলারদের লড়াই ব্যর্থ হল ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। দুই ইনিংসেই চূড়ান্ত ব্যাটিং ভরাডুবির মুখে পড়ে দলীপ ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে হারতে হল অভিমন্যু ঈশ্বরনের নেতৃত্বাধীন পূর্বাঞ্চল দলকে।
আলুরে শিবম মাভির নেতৃত্বাধীন মধ্যাঞ্চল টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে। তারা প্রথম ইনিংসে ১৮২ রানে অল-আউট হয়ে যায়। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৮ রান করেন রিঙ্কু সিং। পূর্বাঞ্চলের মণিশঙ্কর মুরাসিং প্রথম ইনিংসে ৫টি উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২২ রানে অল-আউট হয়ে যায়। রিয়ান পরাগ ৩৩, মণিশঙ্কর মুরাসিং অপরাজিত ৩০ ও সুদীপ ঘরামি ২৭ রান করেন। মধ্যেঞ্চলের আবেশ খান ও সৌরভ কুমার ৩টি করে উইকেট দখল করেন।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৬০ রানের উল্লেখযোগ্য লিড হাতে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে মধ্যাঞ্চল। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ২৩৯ রান। হিমাংশু মন্ত্রী ৬৮ ও বিবেক সিং ৫৬ রান করেন। পূর্বাঞ্চলের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টি করে উইকেট নেন বাংলার দুই বোলার ইশান পোড়েল ও শাহবাজ আহমেদ। ২টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন রিয়ান পরাগ ও শাহবাজ নদিম।
জয়ের জন্য ৩০০ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামে পূর্বাঞ্চল। তৃতীয় দিনের শেষে তারা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে। তার পর থেকে খেলতে নেমে চতুর্থ দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই পূর্বাঞ্চল ১২৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ১৭০ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করে মধ্যাঞ্চল।
১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আকাশ দীপ পূর্বাঞ্চলের হয়ে সব থেকে বেশি ২৪ রান করেন। এছাড়া রিয়ান পরাগ ১৪, সুশান্ত মিশ্র ১৮, শাহবাজ আহমেদ ১৮ ও শাহবাজ নদিম ১৪ রান করেন। দুই ইনিংসেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন ক্যাপ্টেন ঈশ্বরন। ম্যাচে তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ যাথাক্রমে ০ ও ১১ রান। অনুষ্টুপ মজুমদারও নজর কাড়তে ব্যর্থ। দুই ইনিংসে তিনি ৪ ও ১৩ রান সংগ্রহ করেন।
শেষ ইনিংসে মধ্যাঞ্চলের হয়ে একাই ৮টি উইকেট দখল করেন বাঁ-হাতি স্পিনার সৌরভ কুমার। দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ১১টি উইকেট নেন তিনি। শিবম মাভি ও আবেশ খান শেষ ইনিংসে ১টি করে উইকেট পকেটে পোরেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।