কোনও পরিস্থিতিতেই দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলবে না তারা। করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে ১৪ মার্চের ডার্বির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনয়া স্পষ্ট জানালেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা নীতু সরকার। যা নিয়ে তাঁর তুমুল বিবাদ বাঁধল মোহনবাগান কর্তা টুম্পাই বসুর সঙ্গে। শুক্রবার নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠকে রীতিমতো রেফারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। দুপক্ষ সহমতিতে পৌঁছতে না পারায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার বর্তেছে AIFF-এর ওপর। তবে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন ম্যাচ খেলানোর পক্ষে নন তিনি।
এদিনের বৈঠকে ইস্ট বেঙ্গল কর্তা নিতু সরকার জানিয়ে দেন, কোনও পরিস্থিতিতেই দর্শকশূন্য অবস্থায় ডার্বি খেলবেন তা তাঁরা। তাঁর দাবি, গত ডার্বিতেও পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে জানিয়েছিল। যার ফলে ডার্বি পিছিয়েছিল মোহনবাগান। এই ডার্বির আয়োজক ইস্ট বেঙ্গল। ফলে কোন শর্তে ম্যাচ হবে তা ঠিক করার অধিকার রয়েছে তাঁদের। সেক্ষেত্রে দরকার হলে ১ মাস ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন নিতু সরকার।
ওদিকে মোহনবাগানের রয়েছে অন্য যন্ত্রণা। ইতিমধ্যে খাতায় কলমে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেও শেষ ম্যাচ খেলা না-হওয়া পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করতে হবে তাদের। ওদিকে ফেডারেশন প্রতিনিধি সুব্রত দত্তকে তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন সুব্রতবাবু ফেডারেশনের সভাপতি প্রফুল্ল পটেলকে ফোন করেন। কিন্তু তাঁকে ফোনে পাননি। পরে ফেডারেশন সচিব কুশল দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে মত জানার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই চেষ্টাও সফল হয়নি।
ফেডারেশন ম্যাচ করানোর পক্ষে হলেও বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুব্রতবাবুকে তাঁর প্রশ্ন, ‘ভাইরাস ছড়ালে আপনারা দায়িত্ব নেবেন তো?’ এদিনের বৈঠকে ইস্ট বেঙ্গলের ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়ার যুক্তিকেই সমর্থন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে বল আপাতত ফেডারেশনের কোর্টে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।