সমস্যা কাটব কাটব করেও যেন কাটতে চাইছে না। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এবং ইনভেস্টরের মন কষাকষির শুরু সেই কোয়েস আমল থেকে। কোয়েলের সাথে বিচ্ছেদের পর শ্রী সিমেন্টের হাত ধরে ইতিমধ্যেই আইএসএল খেলার সুযোগ পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে পরবর্তী মরসুমে তাদের আইএসএল খেলা নিয়ে ফের সংশয় দেখা দিল। ফের মন কষাকষিতে জড়িয়ে পড়ল ক্লাব এবং ইনভেস্টর।
দীর্ঘ বৈঠকেও বেরল না কোন সমাধানসূত্র। সূত্রের খবর, শ্রী সিমেন্টের পক্ষ থেকে লাল হলুদকে ৩১ শে মার্চের ডেডলাইন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে শ্রী সিমেন্টের পাঠানো চুক্তিতে স্বাক্ষর না করলে বিচ্ছেদের কথা ও নাকি বলে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বড়সড় আর্থিক জরিমানার সম্মুখীন ও হতে পারে ক্লাব।
কোটি কোটি ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের মনে প্রশ্ন, বিনিয়োগকারীদের শর্ত মেনে ইস্টবেঙ্গল কি আদৌ চূড়ান্ত চুক্তিতে সই করবে। যদি না করে তাহলে কি হতে চলেছে ক্লাবের ফুটবল টিমের ভবিষ্যত। আগামী মরসুমে শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে যুক্ত হয়েই কি লাল-হলুদ আইএসএল খেলবে কিনা তা নিয়ে এখন ঘোর সংশয় তৈরি হয়েছে। সমস্যা লগ্নিকারী ও ক্লাব, দুই শিবির নিজেদের অবস্থানে অনড়। ফলে সমস্যা বেড়েছে।সেই কারণে চুক্তি জট এখনও খোলেনি। পরিস্থিতি যা, তাতে জট খোলার সম্ভাবনাও কম।বুধবার সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকেও এই বিষয়ে কোনও ইতিবাচক দিক উঠে আসেনি।
ক্লাব শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের কথায় ধরা পড়েছে ক্লাব কর্তাদের অনড় অবস্থান। শ্রী সিমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বাঙ্গুর শিবিরের স্পষ্ট দাবি চূড়ান্ত চুক্তিতে ক্লাব সই না করলে আর বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতি চললে দলের ফুটবলারদের ভবিষ্যৎ ও অন্ধকারে। হরি মোহন বাঙ্গুর ও প্রশান্ত বাঙ্গুরের ২৪ মার্চ কলকাতায় আসার কথা। সূত্রের খবর তাঁরা ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। বুধবারের বৈঠকের ফলাফলের পর সেই আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা কমেছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।