‘নো ইস্টবেঙ্গল, নো আইএসএল’ – শনিবাসরীয় যুবভারতীতে এমনই পোস্টার এনেছিলেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। গ্যালারিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু মাঠে ইস্টবেঙ্গলের গোল নষ্টের প্রদর্শনী দেখে কয়েকজন রীতিমতো হা-হুতাশ করতে লাগলেন
এবারের আই লিগে যুবভারতীতে প্রথম ম্যাচ খেলছিল ইস্টবেঙ্গল। ফলে সমর্থকরাও প্রিয় দলের জয়ের হ্যাটট্রিকের আশায় ভিড় জমিয়েছিলেন। কিন্তু ১০ মিনিটেই সেই প্রত্যাশায় ধাক্কা দেন লাল-হলুদ প্রাক্তনী উইলিস প্লাজা। চার ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে চার্চিল ব্রাদার্সকে এগিয়ে দেন তিনি।
ধাক্কা খেয়ে অবশ্য তেড়েফুঁড়ে খেলতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। একাধিক গোলের সুযোগ পান মারিয়ো রিভেরার ছেলেরা। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য আরও মরিয়া ওঠেন কোলাডোরা। গোলমুখ খুলতে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ভুলে এক ঘণ্টার মাথায় আনসুমানা ক্রোমাকে রিভেরা। ৭০ মিনিটে তিনি চার্চিলের গোলে বলও জড়িয়ে দেন লাইবিয়ান স্ট্রাইকার। কিন্তু অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। দু’মিনিট পর পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে দু’বার পোস্টে আটকে যায় ইস্টবেঙ্গলের গোল ভাগ্য।
এরপরও গোলের সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ৮৬ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ মিস করেন ক্রোমা। সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত অবশ্য ১০ মিনিটের মধ্যে করেন লাইবিয়ান স্ট্রাইকার। অতিরিক্ত সময়ে তাঁকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন চার্চিলের খেলোয়াড়রা। পেনাল্টি পায় লাল-হলুদ।
কোচের সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বৈরথে জেতার জন্য পেনাল্টি নিতেই পারতেন ক্রোমা। কিন্তু যে ক্রোমার বিরুদ্ধে দলের অন্দর থেকে প্রশ্ন উঠেছিল, যিনি নিজেও সতীর্থদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, সেই ক্রোমাই প্রকৃত টিমম্যানের মতো এদিন কোলাডোকে পেনাল্টি মারতে দেন। পেনাল্টি থেকে ৯৫ মিনিটে গোল করেন কোলাডো। সেই গোলের সৌজন্যেই এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠে ছাড়তে পারে ইস্টবেঙ্গল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।