চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। অবনমনেরও আশঙ্কা নেই। এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গলের একটাই লক্ষ্য, শতবর্ষে আই লিগ টেবিলের কিছুটা উপরে শেষ করা। কিন্তু সেটাই পারছে না লাল-হলুদ শিবির।
উলটে মঙ্গলবার কোঝিকোড়ে দুরন্ত শুরু করে গোকুলাম। ন'মিনিটের মাথায় তার ফসল পায় কেরালার দলটি। বক্সের মাথা থেকে মার্কোস জোসেফের নেওয়া জোরদার শট ইস্টবেঙ্গল জালে জড়িয়ে যায়। তিন মিনিট পরেই ২-০ করার সুযোগ পেয়েছিল গোকুলাম। মার্কোসের শট দ্বিতীয় পোস্টে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে।
এরপর ২৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল শোধ করেন নয়া বিদেশি ভিক্টর পিরেস। জুয়ান মেরাকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন নওচা সিং। রেফারি পেনাল্টি তো দেনই, নওচাকে হলুদ কার্ডও দেখান। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি স্প্যানিশ মিডিও।
গোলের পর কিছুটা খেলায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও সেই ছন্দ ধরে রাখে লাল-হলুদ। মারিয়ো রিভেরার দলকে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসার আরও সুযোগ করে দেন নওচা। ৪৯ মিনিটে মেরাকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান তিনি। গোকুলাম ১০ জনে হয়ে যাওয়ার সাত মিনিট পরই গোলের সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু বক্সের মাথা থেকে পিরেজের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ৭২ মিনিটেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। মেরার গোলমুখী শট ক্রসবারে প্রতিহত হয়।
শেষ লগ্নে অবশ্য কয়েকটা গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল গোকুলাম। অতিরিক্ত সময়ে লাল-হলুদ জালে বল জড়িয়েও দেন সলমন কে। তবে অফসাইডের জন্য তা বাতিল হয়ে যায়। ম্যাচের শেষ লগ্নে লালকার্ড দেখেন গোকুলামের জোহিব ইসলাম আমিরি। যদিও তখন আর সেই সুযোগ নেওয়া্ সম্ভব ছিল না ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।