ইস্টবেঙ্গলের পরিত্রাতার ভূমিকায় মুখ্যমন্ত্রী। লাল-হলুদ শিবিরকে আইএসএলের আঙিনায় জায়গা করে দিতে দীর্ঘদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত উদ্যোগ নেওয়ার কথা এতদিনে সবার জানা। মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যেই অবশেষে ইস্টবেঙ্গলের সামনে প্রায় বন্ধ হয়ে আইএসএলের দরজা খুলে গিয়েছে।
বুধবার নবান্নে দাঁড়িয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে নিজের উদ্যোগের কারণ জানালেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গল বঞ্চিত হোক, এটা তিনি চাননি। ১০০ বছরের ক্লাবকে ঘিরে অনিশ্চয়তা দানা বেঁধে ছিল। যেটা কাটানো জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
ইস্টবেঙ্গল প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রাম হোক বা শহর, ফুটবল সব জায়গায় খেলা হয়। এবছর ইস্টবেঙ্গল ১০০ বছর উদযাপন করছে। তার মাঝেই (আইএসএল খেলা নিয়ে) একটা অনিশ্চয়তা ছিল। ওরা বঞ্চিত হতে শুরু করেছিল। সমস্যা এখন মিটে গিয়েছে। ওরা আইএসএল খেলবে।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মোহনবাগান জোগাড়জাটি করে আগেই আইএসএলে যোগ দিয়েছে। তবে ইস্টবেঙ্গল মহামারির মাঝেই দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল আইএসএলে যোগ দেওয়ার। অবশেষে সেটা সম্ভব হয়েছে।’
ইস্টবেঙ্গল বঞ্চিত হোক, এটা তিনি চাননি বলে জানানোর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ফুটবল ছাড়া বাংলা সম্পূর্ণ নয়। মহামারির মাঝেও প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা নিয়ে খেলা হোক। বাংলাই দেশকে পথ দেখায়। আমরা মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান সব ক্লাবকেই ভালোবাসি।’
নতুন ইনভেস্টরের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নতুন স্পনসদের সঙ্গে ক্লাব কর্তাদের বৈঠকে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন বলে শোনা যাচ্ছে। ইস্টবেঙ্গল সচিব কল্যাণ মজুমদার ক্লাবের জন্য আইএসএলের পথ সাফ করায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকারও।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।