ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের চিঠি পাওয়ার পর এ দিন ফের ক্লাবকে চিঠি পাঠাল লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্ট। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ লগ্নিকারী সংস্থা। টার্মশিট আর মূল চুক্তিপত্রের মধ্যে কোথায় ফারাক কোথায় সেটা বারবার ক্লাবের থেকে জানতে চেয়েছে শ্রী সিমেন্টের কতৃপক্ষ। ক্লাবের উত্তর কখনই সন্তুষ্ট করতে পারেনি বিনিয়োগকারী সংস্থাকে।
শ্রী সিমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বাঙুর বলেন, ‘ওরা খালি আলোচনার কথা বলছে। টার্মশিটের পুরো বিষয়গুলোকে তো বিস্তারিত উল্লেখ করে আমরা চিঠি পাঠিয়েছি। কোনওরকম এজেন্ডা ছাড়া তো কখনও আলোচনা করা যায় না। কীসের ভিত্তিতে আলোচনা করব? সামনাসামনি দেখা করব, আড্ডা দেব, চা খাব ব্যস? টার্মশিটে সইয়ের আগে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছিল। এরপর আর কোনও আলোচনায় যেতে আমি আগ্রহী নই। আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার, টার্মশিট আর মূল চুক্তিপত্রের মধ্যে কোথায় অসামঞ্জস্য রয়েছে তা আমাদের পরিষ্কার করে জানাতে হবে।’
শ্রী সিমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বাঙুর আরও বলেন, ‘ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে মান্যতা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টার্মশিটে সইয়ের আগে ক্লাব অনেক বিষয় নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিল। সেগুলোর মীমাংসা হয়ে যাওয়ার পরই টার্মশিটে ক্লাব সই করে। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন আমাদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের গাঁটছড়া বাধার কথা। মূল চুক্তিপত্রে সই না করা মানে মুখ্যমন্ত্রীকে অবমাননা করা।’
ক্লাব-ইনভেস্টর জট ক্রমশই বাড়ছে। শ্রী সিমেন্ট কতৃপক্ষের তরফ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে মূল চুক্তিপত্রে সই না করলে আর এক টাকাও লগ্নি করবে না ইনভেস্টর। কারণ এফএসডিএলের কাগজে সই করতে হলে, আইনী কাগজ প্রয়োজন। ক্লাব মূল চুক্তিপত্রে সই করলে তবেই আইনী ভাবে লগ্নি করতে বিনিয়োগকারী সংস্থা। চিঠিতে সেই কথাও উল্লেখ করা আছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।