করোনা মহামারির জন্য এবছর মোহনবাগান দিবস পালিত হয়েছে অনলাইনে। সুপরিকল্পিত ছকে ক্লাবের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সারাদিন ব্যাপী অনুষ্ঠান সাজিয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটায় সবুজ-মেরুন শিবির। তবে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ১ অগস্ট দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হলেও জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে তা স্মরণীয় করতে রাখতে পারল না লাল-হলুদ শিবির।
শনিবারই ইস্টবেঙ্গল শতবর্ষের মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলে। শতবার্ষিকী উদযাপনের শুরুতে যে রকম জৌলুস দেখা গিয়েছিল লাল-হলুদ শিবিরে, শতবর্ষে পা দেওয়ার দিনে তার বিন্দুমাত্র ছটাও চোখে পড়ল না।
নিতান্ত নিয়মরক্ষার ছলে শতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সারে ইস্টবেঙ্গল। ক্রীড়ামন্ত্রী, কিছু প্রাক্তন ফুটবলার ও হাতে গোনা কিছু সমর্থকদের নিয়ে ক্লাব কর্তারা পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। পরে স্মারক পুস্তিকা প্রকাশের মাধ্যামে ক্লাবের ১০০ বছরের ইতিহাসকে সমর্থকদের সামনে তুলে ধরে লাল-হলুদ শিবির।
অন্য সময় হলে ময়দান চত্ত্বর লাল-হলুদে মুড়ে সমর্থকরা প্রিয় ক্লাবের এমন মাইলস্টোনকে মহোৎসবের রূপ দিতেন সন্দেহ নেই। তবে করোনা মহামারির জন্য এবার তা সম্ভব হয়নি অনুরাগীদের পক্ষে।
করোনা মহামারি যদি ইস্টবেঙ্গলের শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে জল ঢালার অন্যতম কারণ হয়ে থাকে, তবে বিনিয়োগকারী না থাকা ও মাঠের লড়াইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে দোলাচলতাও ক্লাব কর্তাদের উৎসবে মেতে উঠতে দেয়নি এবার।
সমর্থকদের আশা ছিল, এমন বিশেষ দিনে হয়ত ক্লাবের তরফে বিশেষ কোনও ঘোষণা অপেক্ষা করে আছে। তবে বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। না বিনিয়োগকারী নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারল ইস্টবেঙ্গল। না সমর্থকদের আশ্বস্ত করতে পারল আইএসএল খেলা নিয়ে।
ইস্টবেঙ্গলের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান ঘিরে আবেগের ঠেলায় মুহূর্তের জন্য সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বাঁধ ভাঙলেও ক্লাব কর্তারা অবশ্য মহামারি ঘিরে নিরাপত্তার দিতে সতর্ক দৃষ্টি রাখার চেষ্টা করেছেন আগাগোড়া। অন্তত মাস্ক বিতরণ ও ক্লাবে না এসে নিজ নিজ এলাকায় পতাকা উত্তোলনের আবেদন জানিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে সামাজিক দায়িত্ব পালন করা হয়েছে যথাযথ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।