সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইআইএফ) চিঠির জবাব দেওয়া হল বটে। তবে তাতে কোনও স্পষ্ট উত্তর দিতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। বরং জানানো হল, কোয়েসের সঙ্গে আপাতত আলোচনা চলছে।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে ইস্টবেঙ্গলের ৭০ শতাংশ শেয়ার নিয়েছিল বিনিয়োগকারী কোয়েস। তারপর কোয়েস ইস্টবেঙ্গল এফসি প্রাইভেট লিমিটেড নামে নথিভুক্ত হয়েছিল লাল-হলুদ। তবে প্রথম থেকেই কোয়েসের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের সম্পর্ক ‘মধুর’ ছিল না। যতদিন গিয়েছে তত চওড়া হয়েছে ফাটল। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে গত রবিবার সরকারিভাবে কোয়েস-ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে ইতি পড়েছে।
কিন্তু তারপর শুরু হয়েছে নতুন জটিলতা। বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও ইস্টবেঙ্গলের খেলার সত্ত্ব বা স্পোর্টিং রাইটস এখনও কোয়েসের কাছে রয়েছে। সেই সত্ত্ব ছাড়া কলকাতা লিগ, আই লিগ-সহ কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না লাল-হলুদ শিবির। অথচ ২০২০-২১ মরশুমে এএফসি ক্লাব লাইসেন্সিং পাওয়ার জন্য ইস্টবেঙ্গলকে একটি বৈধ ঘোষণাপত্র জমা দিতে হবে। সেখানে মালিকানার বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।
সেজন্য বিষয়টি নিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে ইস্টবেঙ্গলকে চিঠি পাঠানো হয়। তাতে জানানো হয়, এএফসি ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জন্য লাল-হলুদ শিবিরকে সরকারিভাবে ক্লাবের বর্তমান অবস্থা এবং মালিকানা কাঠামোর বিষয়ে জানাতে হবে।
তারপর ফেডারেশনের চিঠির জবাব দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তাতে জানানো হয়েছে, দু'পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। তা মিটে গেলেই ফেডারেশনকে যাবতীয় তথ্য জানানো হবে। লাল-হলুদ শিবিরের খবর, ফেডারেশনের চিঠি কোয়েসকে পাঠানো হয়েছে। দু'পক্ষের আইনজীবীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। তবে সূত্রের খবর, পুরো বিষয়টি মিটতে জুন হয়ে যেতে পারে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।