অবশেষে জয়ের সরণিতে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। টানা তিন ম্যাচে হারের পর দাপটের সঙ্গে চেন্নাই সিটিকে ২-০ গোলে হারাল লাল-হলুদ। পেনাল্টি ফসকালেও গোল করে ও করিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সেরা হন হাইমে কোলাডো।
আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেজ গার্সিয়া দেশে ফিরে গেলেও এখনও আসেননি নতুন কোচ। সহকারী বাস্তব রায়ের মগজাস্ত্রের উপর নির্ভর করে অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট তুলে আনা লক্ষ্য ছিল ইস্টবেঙ্গলের। ম্যাচের শুরু থেকেই কোলাডোদের খেলায় সেটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ইস্টবেঙ্গলের গতিতে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় গতবারের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন। ১৫ মিনিটে পেনাল্টি পায় লাল-হলুদ। তবে কোলাডোর জোরালো শট বাঁচিয়ে দেন চেন্নাইয়ের গোলকিপার।
প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপায় ইস্টবেঙ্গল। ৫২ মিনিটে চেন্নাইয়ের জালে বল জড়িয়ে দেন ব্র্যান্ডন। তবে তা অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায়। একবার পোস্ট লেগেও ফিরে আসে ব্রান্ডনের শট। এরপর গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। ক্রোমাকে নামান লাল-হলুদের সহকারী কোচ। নেমেই গোলের সুযোগ তৈরি করেন ক্রোমা। তাঁকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়া হলেও পেনাল্টি দেননি রেফারি।
শেষপর্যন্ত স্প্যানিশ যুগলবন্দিতে ৬৮ মিনিটে বহু কাঙ্খিত গোল পায় ইস্টবেঙ্গল। ট্যাপ-ইন করে গোল করেন মার্কোস এসপাদা। ন'মিনিট পরে ফের পেনাল্টি পায়। এবারও স্পট কিক নিতে যান কোলাডো। তবে প্রথমবারের ভুল শুধরে নেন। তাঁর বুলেট শট চেন্নাইয়ের গোলকিপারের ডানদিক দিয়ে জালে জড়িয়ে যায়।
তিন ম্যাচ পর জয়ের পর ইস্টবেঙ্গলের অন্দরেও ফুরফুরে বইছে। ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে প্রাক্তন কোচের ছবি সম্বলিত জার্সি নিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। এদিকে, আজকের জয়ের ফলে আট ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল।
ঙ্গল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।