আকাশ ছোঁয়া ক্ষতির পরিমাণ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ECB

২০১৬ সালে ইসিবি-র সংরক্ষিত অর্থের পরিমাণ ছিল ৭০ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু এখন লোকসান সামালাতে সেখান থেকে খরচ করতে গিয়ে সংরক্ষিত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাত্র ২.২ মিলিয়ন ইউরো।

করোনার জেরে বড় ক্ষতির মুখে ইসিবি।

করোনা ভাইরাসের জেরে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬.১ মিলিয়ন ইউরো। এমন কী ইসিবি-র তরফে জানানো হয়েছে, এখনও করোনার রেশ কাটেনি। স্বাভাবিক ভাবে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। পাশাপাশি তারা আরও জানিয়েছে, তাদের সংরক্ষিত অর্থের পরিমাণ কমে গিয়ে ২.২ মিলিয়ন ইউরোতে নেমে এসেছে।

করোনার জেরে ২০২০ সালের সব ম্যাচেই দর্শক প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। ইসিবি-র প্রধান টম হ্যারিসন বার্ষিক পর্যালোচনায় বলেছেন, এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। 

হ্যারিসনের দাবি, ‘গত ১২ মাসে আমরা সবচেয়ে বেশি আর্থিক সমস্যায় জেরবার হয়েছি। কিছু আশার কথা শোনা গেলেও, এটা ঠিক, এখনও আমরা করোনা পরিস্থিতি থেকে বের হতে পারিনি। আমাদের সামনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে ২০২১ গ্রীষ্মের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। যদিও জানি না, দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার পর এর কী প্রভাব পড়তে পারে। বা জৈব সুরক্ষা বলয়ে এর প্রভাব কতটা হবে! ২০২১ সালটি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই বছর আমরা ব্যর্থ হতে দিতে পারব না।’

২০২০ সালের মার্চ মাসে গোটা বিশ্বেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেট। অন্যান্য দেশের তুলনায় ইংল্যান্ডই সবার আগে পুনরায় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে শুরু করেছিল। ২০২০ সালের জুলাই মাসেই তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করে। তার পরে আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ খেলে। সব মিলিয়ে টানা চারটি সিরিজ আয়োজন করেছিল তারা।

তবে এই সিরিজ আয়োজন করতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ হয়েছে। জৈব সুরক্ষা বলয়ের ব্যবস্থা করা, দলের প্রত্যেকের নিয়মিত করোনা পরীক্ষা করানো, সব মিলিয়ে এখন যে কোনও সিরিজ আয়োজন করাটাই অনেক বেশি ব্যয়বহুল। সেই সঙ্গে আবার দর্শক প্রবেশের অনুমতি না থাকায়,  টিকিট বিক্রির থেকেও কোনও অর্থ আসছে না। তবে টিভি স্বত্ত্ব বেচে এবং স্পন্সরশিপ থেকে আগের মতোই আয় হয়েছে।

কিন্তু এতেও ক্ষতির পরিমাণ আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। ইসিবি-র তরফেই জানানো হয়েছে, তাদের সংরক্ষিত অর্থ এখন তলানিতে। ২০১৬ সালে তাদের সংরক্ষিত অর্থের পরিমাণ ছিল ৭০ মিলিয়ন ইউরো। কিন্তু এখন লোকসান সামাল দিতে সেখান থেকে খরচ করতে গিয়ে সংরক্ষিত অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাত্র ২.২ মিলিয়ন ইউরোতে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে মনে করছেন ইসিবি প্রধান।