শুভব্রত মুখার্জি: প্রিমিয়র লিগের জনপ্রিয় ক্লাব লিভারপুলের হয়ে একসঙ্গে মাঠ কাঁপান দুই ফুটবলার সাদিও মানে এবং মহম্মদ সালাহ। ক্লাব ফুটবলের দুই সতীর্থ তথা দুই বন্ধুই এবার একেবারে সম্মুখ সমরে বলা যায়। আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালে প্রবেশ করল মিশর। উল্লেখ্য সাদিও মানের সেনেগাল আগেই প্রবেশ করেছিল ফাইনালে। এবার সেমিফাইনালে জিতে ফাইনালে প্রবেশ করল মহম্মদ সালাহের মিশর।
আফ্রিকান নেশন্স কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মিশর এবং ক্যামেরুন। ক্যামেরুনকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল মিশরও। উল্লেখ্য আফ্রিকা নেশন্স কাপে সবচেয়ে বেশি ৭ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির রয়েছে মিশরের। কিন্তু ৭ বারের চ্যাম্পিয়ন দল গত ১২ বছর নেশন্স কাপ জিততে সমর্থ হয়নি। এই নিয়ে সেনেগাল পরপর দু’বার নেশন্স কাপের ফাইনালে উঠল। তবে দুবার ফাইনালে প্রবেশ করলেও পাপা বৌউবা ডিওপদের দেশ এখন পর্যন্ত নেশন্স কাপের শিরোপা জিততে সক্ষম হয়নি। ম্যাচে ক্যামেরুন এবং মিশর দুই দল একাধিক গোল করার সুযোগ পেলেও গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হয় দুই দল। ১২০ মিনিটের পরেও ম্যাচ গোলশূন্য অবস্থায় থাকে। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। আর এই টাইব্রেকারে রজার মিল্লার দেশকে হারিয়ে ম্যাচ জিতে নিল সালাহর দেশ মিশরের।
টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে ক্যামেরুনকে হারিয়ে ফাইনালের পৌঁছে গেল সালাহরা। ক্যামেরুনের পরপর দুটো শট বাঁচিয়ে ম্যাচের নায়ক হয়ে যান মিশরের গোলরক্ষক মহম্মদ আবু গাবাল। টাইব্রেকারে শট নিতে যেতে হয়নি মিশরের সালাহকে। টাইব্রেকারে প্রথম শট থেকে দুটি দলই গোল করতে ভুল করেননি। কিন্তু পরের দুটো শট থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ক্যামেরুনের হ্যারল্ড মৌকাউদি, জেমস লি সিলিকি।