মুহুর্মুহু উত্থান-পতনে ভরা ম্যাচে নাটকীয় জয় অস্ট্রেলিয়ার। ফলে টি-২০ সিরিজ খোয়ানোর পর ইংল্যান্ড সফর থেকে ওয়ান ডে সিরিজের ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরছেন অজিরা।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ১-২ ব্যবধানে হারতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। পরবর্তী ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম দু'টি ম্যাচ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় দু'দল। অর্থাৎ, ম্যাঞ্চেস্টারে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায়। কার্যত ফাইনালের রূপ নেওয়া ম্যাচে ব্যাট-বলের দুরন্ত লড়াই উপহার দেন ব্রিটিশ ও অজি ক্রিকেটাররা।
টস জিতে ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। একসময় ৯৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসা ইংল্যান্ড ঘুরে দাঁড়িয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে তাদের ইনিংস শেষ করে ৭ উইকেটে ৩০২ রানে। জনি বেয়ারস্টো অনবদ্য শতরান করেন। তিনি ১২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১১২ রান করে আউট হন।
এছাড়া স্যাম বিলিংস ৫৭ ও ক্রিস ওকস ৫৩ রান করেন। ৩টি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও অ্যাডাম জাম্পা। ১টি উইকেট কামিন্সের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৭৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। সবাই যখন ধরে নিয়েছেন যে, অজিরা নিশ্চিত হারের দিকে এগচ্ছেন, ঠিক তখনই পালটা লড়াই শুরু করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অ্যালেক্স ক্যারি জুটি। দু'জনেই দুরন্ত শতরান করে দলকে জয়ের মঞ্চে বসিয়ে দেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ান ডে ক্রিকেটে ষষ্ঠ উইকেটে রেকর্ড পার্টনারশিপ (২১২) গড়েন ম্যাক্সওয়েল ও ক্যারি। শেষ কাজটা সম্পন্ন করেন প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক।
ক্যারি তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন। তিনি ১০৬ রান করে আউট হন। ৭টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন অজি উইকেটকিপার। ম্যাক্সওয়েল সাজঘরে ফেরেন ৯০ বলে ১০৮ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে। তিনি ৪টি চার ও ৭টি ছক্কা হাঁকান। ওকস ও রুট ২টি করে উইকেট নিলেও তা কার্যকরী প্রমাণিত হয়নি।
অস্ট্রেলিয়া ৪৯.৪ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ম্যাচের সেরা হন ম্যাক্সওয়েল। সিরিজ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:- ইংল্যান্ড: ৩০২/৭ (৫০ ওভার), অস্ট্রেলিয়া: ৩০৫/৭ (৪৯.৪ ওভার), (অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেটে জয়ী)।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।