দু’বার করোনার টিকা নিয়েও কেন নিভৃতবাসে থাকতে হবে? নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন নিয়মের কড়া সমালোচনা করলেন ভারতীয় দলের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী। এই সমালোচনার পরেই বাইশ গজে জন্ম নিয়েছে নতুন বিতর্ক। কে ঠিক? কে ভুল? এই নিয়ে নেট দুনিয়ায় ঝড় উঠেছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য ক্রীড়াবিদদের নিভৃতবাসে থাকা বাধ্যতামূলক। সেটাই মানতে পারছেন না ভারতীয় দলের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী। তাঁর দাবি দুবার কোভিড টিকা নিলেই যদি ভাইরাসকে হারানো যায়, তাহলে ঘরবন্দি কেন থাকতে হবে। সতীর্থ ভরত অরুণের সঙ্গে টুইটারে ছবি দিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন প্রাক্তন অলরাউন্ডার।
কিছুদিন আগেই করোনার ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল ঋষভ পন্তের শরীরে। ফলে তাঁকে থাকতে হয়েছিল কড়া নিভৃতবাসে। শুধু ঋষভ পন্তই নয়, সেই তালিকায় ছিল টিম ইন্ডিয়ার আরও অনেক নাম। কয়েকদিন আগেই ভারতীয় দলের ম্যাসাজ থেরাপিস্ট দয়ানন্দ গরানী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর সংস্পর্শে এসে ভরত অরুণ, ঋদ্ধিমান সাহা ও অভিমন্যু ঈশ্বরণকে ১০ দিনের নিভৃতবাসে থাকতে হয়েছিল। ঋদ্ধিমান সাহা সহ সেই তালিকায় ছিলেন দলের সহকারী কোচ ভরত অরুণ। কিছুদিন আগেই নিভৃতবাস কাটিয়ে বিরাট কোহলিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তাঁরা।
তারপরে নিজের সতীর্থ ভরত অরুণকে পেয়ে উচ্ছসিত দলের প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী। ভরত অরুণের সঙ্গে তিনি নিজের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছেন। শুধু ছবি শেয়ার করেননি, ছবির সঙ্গে একটি বার্তাও লিখেছেন বিরাট কোহলিদের হেড স্যার যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
শাস্ত্রী লিখেছেন, ‘অনেক দিন পরে আমার ডান হাত, আমার বন্ধু ঘরে ফিরে এসেছে। ওকে আগের থেকে অনেক বেশি ফিট লাগছে। তবে কোভিড পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসার পরেও ১০ দিন ঘরবন্দি থাকা খুবই বিরক্তিকর। এটা খুব খারাপ নিয়ম। দুবার টিকা নিলেই তো সমস্যা মিটে যায়।’ এরপরেই রবি শাস্ত্রীর এই বার্তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে নেটিজেনরা বিতর্কের ঝড় তোলেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।