ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ফের একবার চর্চায় ‘সফ্ট সিগন্যাল’। দ্বিতীয় দিনের ১০ নম্বর ওভারে ডেভন কনওয়ের ব্যাটে বল লেগে স্লিপে জ্যাক ক্রাউলির কাছে যায়। মাঠে আম্পায়র সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নিশ্চিত না হলেও ‘সফ্ট সিগন্যাল’ নট-আউট থাকায় তৃতীয় আম্পায়রও সব দেখে কিউয়ি ওপেনিং ব্যাটসম্যানকে নট-আউটই দেন।
আর এতেই চটেছে ইংল্যান্ড শিবির। ম্যাচের পর ইংল্যান্ড বোলিং কোচ জন লুইস এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন। দিনের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে লুইস বলেন, ‘ইংল্যান্ড দলের প্রতিক্রিয়া থেকে সহজেই বোঝা যায়, ওই সিদ্ধান্ত ঘিরে তাঁরা কতটা বিরক্ত ছিল। খেলায় সকলের মতামত ভিন্ন হতেই পারে। এই সিদ্ধান্তে নিউজিল্যান্ড দল খুশি হবে এবং আমরা অখুশি। তবে দিনের শেষে সবথেকে বড় প্রশ্ন হল সফ্ট সিগন্যালের প্রয়োজনীয়তা কতটা। মাঠের বাইরে যিনি বসে রয়েছে, তিনি ওই সিগন্যাল ছাড়া নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কি না।’
তবে স্বাভাবিকভাবেই এক্ষেত্রে লাভবান হওয়া কনওয়ের মতামত এই ঘটনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি জানান, ‘আমার ব্যাট বল লাগার পর আমি ঘুরে তাকাই কারণ বল সোজা ফিল্ডারের হাতে গেছে কি না, সেই বিষয়ে আমি নিশ্চিত ছিলাম না। ভাগ্যবশত সিদ্ধান্তটা আমার পক্ষেই যায় এবং আমি আরেকটা সুযোগ পাই। যখন আমার কাছে প্রযুক্তির সুবিধা রয়েছে, তখন কোন ক্যাচ সঠিকভাবে ধরা হয়েছে না হয়নি সেই বিষয়ে কেন আমরা তার সাহায্য নেব না?’
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজে একাধিকবার এই একই মর্মে নানা তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আকাশ চোপড়াসহ অনেকেই ‘সফ্ট সিগেন্যাল’র প্রয়োজনীয়তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। এ মরশুমের আইপিএলও আম্পায়ারদের ‘সফ্ট সিগন্যাল’ দিতে মানা করা হয়। আইপিএল পরবর্তী সময়ে আবারও সেই একই জিনিস নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।