ব্যাট হাতে ফের ব্যর্থ বাবর আজম। তুলনায় ব্যাটে-বলে লড়াই চালালেন হাসান আলি। নবাগত সউদ শাকীল শেষবেলায় পালটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন বটে, তবে পাকিস্তানের হার বাঁচানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল না তাঁর প্রয়াস। ফলে লর্ডসে দ্বিতীয় সারির ইংল্যান্ড দলের কাছে দ্বিতীয় ম্যাচে আত্মসমর্পণ করে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ হার নিশ্চিত করে ফেলে পাকিস্তান।
ইংল্যান্ডের প্রথম দলের ক্রিকেটাররা কোয়ারান্টাইনে। তড়িঘড়ি সম্পূর্ণ নতুন স্কোয়াড ঘোষণা করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দল নামায় ইংল্যান্ড। আধা শক্তির ইংল্যান্ড দলের কাছে প্রথম ম্যাচে ১৪১ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৯৫ রান তুললেও তাতে টেল এন্ডারদের অবদান বিস্তর। ক্যাপ্টেন বাবর-সহ টপ অর্ডারের তারকা ব্যাটসম্যানরা ডাহা ফেল।
লর্ডসে টস জিতে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করতে ডাকে ইংল্যান্ডকে। বৃষ্টির জন্য ৪৭ ওভারে কমে দাঁড়ানো ম্যাচে ইংল্যান্ড ৪৫.২ ওভারে অল-আউট হয়ে যায় ২৪৭ রানে। ফিল সল্ট ৬০, জেমস ভিনস ৫৬, লুইস গ্রেগরি ৪০, ব্রাইডন কার্স ৩১ ও বেন স্টোকস ২২ রান করেন।
হাসান আলি ৫১ রানে ৫ উইকেট দখল করেন। ২টি উইকেট নেন হ্যারিস রউফ। ১টি করে উইকেট তুলেছেন শাহিন আফ্রিদি, শাদব খান ও সউদ শাকীল।
পালটা ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান একসময় ১১৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে দলকে দু'শোর কাছাকাছি নিয়ে যান কেরিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে মাঠে নামা শাকীল। তিনি দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন।
দুই ওপেনার ইমাম-উল-হক ও ফকর জামান যথাক্রমে ১ ও ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। প্রথম ম্যাচে খাতা খুলতে না পারা বাবর আজম এদিন ১৯ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। এছাড়া মহম্মদ রিজওয়ান ৫, শাদব খান ২১, শোয়েব মাকসুদ ১৯, ফহীম আশরাফ ১ ও হ্যারিস রউফ ১ রান করেন। হাসান আলি ৩১ রানের যোগদান রাখেন। আফ্রিদি নট-আউট থাকেন ১৮ রান করে।
আড়াইশো'র কম রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান অল-আউট হয়ে যায় ১৯৫ রানে। ৫২ রানে জয় তুলে নিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে পকেটে পোরে ইংল্যান্ড।
গ্রেগরি ব্যাট হাতে কার্যকরী অবদান রাখা ছাড়াও বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।