মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এফ এ কাপের খেতাব হাতছাড়া হয়েছে। তবে ঘরের মাঠে দর্শকদের উপস্থিতিতে ২-১ গোলে লেস্টার সিটিকে হারিয়ে সেই হারের জ্বালা কিছুটা মেটাল চেলসি। পাশাপাশি পরের মরশুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের জায়গা পাকা করার রাস্তাটাই আরও একটু মসৃণ হল মেসন মাউন্টদের।
এফ এ কাপ ফাইনালের মতোই প্রথম থেকেই ম্যাচের রাশ ছিল চেলসির দখলে। বারবার লেস্টারের গোল লক্ষ্য করে আক্রমণ হানাতে থাকে চেলসি। টিমো ওয়ার্নার ২২ মিনিট ও ৩২ মিনিটে ক্যাসপার স্মাইকেলের গোলে বল জড়িয়ে দেন। তবে গোটা মরশুমের মতোই ভাগ্য সহায় হয়নি টিমোর। প্রথম গোলটি অফসাইড ও দ্বিতীয়টি হ্যান্ডবলের জন্য বাতিল হয়। মাউন্টের শট স্মাইকেল দুরন্তভাবে সেভ করে দিলে কাপ ফাইনালের স্মৃতিই ফের তাড়া করতে থাকে চেলসি সমর্থকদের। কাপ ফাইনালের মতো প্রিমিয়ার লিগের এই ম্যাচেও প্রথমার্ধে ভালো খেলেও গোলের দরজা খুলতে ব্যর্থ হয় ব্লুজরা। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার মাত্র দুই মিনিটের মাথায় বেন চিলওয়েলের কর্নার থেকে লেস্টারের গোলে বল জড়িয়ে দেন অ্যান্টোনিও রুডিগার। ৬৫ মিনিটের মাথায় ভিএআরের হস্তক্ষেপে পেনাল্টি পায় থমাস টুশেলের দল। সুযোগ নষ্ট করেননি জর্জিনিয়ো। স্মাইকেলকে ভুল দিকে পাঠিয়ে স্বভাবচিত শান্ত ভঙ্গিমায় চেলসির লিড দ্বিগুন করেন তিনি। পরিবর্তিত হিসেবে নেমে ফর্মে থাকা কেলেচি ইহেনাচো প্রিমিয়র লিগে নিজের ১২ নম্বর গোলটি করেন। স্যাচের শেষ মুহূর্তে সমতা ফেরানোর সুযোগ থাকলেও তা নষ্ট করেন আয়োজে পেরেজ।
এই ম্যাচে জয়ের ফলে শুধুমাত্র এফ এ কাপের বদলাই পূরণ হল না, প্রিমিয়ার লিগের প্রথম চারের টানটান লড়াইয়ে লেস্টারকে পিছনে ফেলে তিন নম্বরে উঠে এল চেলসি। মরশুমের এক ম্যাচ বাকি থাকতে টুশেলের দলের মোট পয়েন্ট ৬৭। ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত চারে রইল লেস্টার। তবে বার্নলের বিরুদ্ধে লিভারপুল জিতলে পাঁচ নম্বরে নেমে যেতেন পারেন তাঁরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।