পরের মরশুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের জায়গা পাকা করতে লিভারপুল আরও একধাপ এগিয়ে গেল। বার্নলের বিরুদ্ধে টার্ফ মোরে ৩-০ গোলে সহজ জয় পেয়ে তিন মাস পর প্রথমবার প্রিমিয়র লিগ তালিকায় চার নম্বরে ওঠে এল মার্সিসাইডাররা।
মরশুমে প্রথমবার মুখোমুখি হলে বার্নলের বিরুদ্ধে হেরে ৬৮ ম্যাচ পরে প্রথমবার ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে পরাস্ত হয়েছিল লিভারপুল। ম্যাচের শেষে দুই দলের দুই ম্যানেজারের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। ফলে এই ম্যাচ ঘিরে আলাদা একটা আবহ তৈরি হয়েছিল।
ম্যাচের প্রথম থেকে প্রত্যাশিতভাবেই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল লিভারপুল। প্রথম ১০ মিনিটেই তিনটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে জুরগেন ক্লপের দল। বার্নলের হয়ে গোলের সুযোগ পেয়েও জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন নিউজিল্যান্ডের ক্রিস উড। গোটা প্রথমার্ধ জুড়েই আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের খেলা চলতে থাকে। ম্যাচের ৪৩ মিনিটের মাথায় রবার্তো ফির্মিনোর গোলে অবশেষে এগিয়ে যায় লিভারপুল। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০তেই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা ভালো করেও ৫২ মিনিটের মাথায় ন্যাট ফিলিপ্সের সিনিয়র ফুটবল কেরিয়ারের প্রথম গোলে ২-০-তে পিছিয়ে পড়ে বার্নলে। তবে হতাশ না হয়ে লড়াই চালিয়ে যায় সন ডাইচের দল। মরশুমে প্রথমবার ঘরের ম্যাচে উপস্থিত সমর্থকদের সামনে নিজেদের দক্ষতার প্রমাণ দিতে রেডসদের কড়া টক্কর দেন তাঁরা। কিন্তু একদিকে গোল করে অপরদিকে গোললাইনে দুরন্তভাবে হেডের সাহায্যে বার্নলের নিশ্চিত গোল রুখে দেন সেই ফিলিপ্সই। অবশেষে পরিবর্ত হিসাবে নামা অ্যালেক্স অক্সারলেড চেম্বারলেনের ৮৮ মিনিটে একক কৃতিত্বে দুরন্ত গোলে তৃতীয় গোল ও তিন পয়েন্ট দুইই নিশ্চিত করে লিভারপুল।
জয়ের ফলে তিন মাস পরে ফের প্রিমিয়ার লিগের প্রথম চারে উঠে এল ক্লপের দল। পাঁচে থাকা লেস্টার সিটি ও তাঁদের দুইজনেরই দখলে ৬৬ পয়েন্ট থাকলেও ভাল গোল পার্থক্যের সুবাদে এগিয়ে গেল লিভারপুল। অপরদিকে নিজেদের ঘরের মাঠে এই নিয়ে টানা ১০ ম্যাচে তিন পয়েন্ট তুলতে ব্যর্থ হল বার্নলে। ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তাঁরা লিগ তালিকায় ১৭ নম্বরেই রইল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।