শনিবার (২৮ অগস্ট) এই প্রিমিয়র লিগ মরশুমের এখনও অবধি সবচেয়ে বড় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল চেলসি ও লিভারপুল। লিগ তালিকায় এক ও দুই নম্বরে থাকা দলের মধ্যে এক জমজমাট ম্যাচের আশায় ছিল সমর্থকরা। ম্যাচের ফলাফল ১-১ হলেও দুরন্ত গোল, লড়াকু মানসিকতা ও দুর্দান্ত দক্ষতায় ভরা ম্যাচ তাদের হতাশ করেনি।
ঘরের মাঠে লিভারপুলকে হারানো বেশ কঠিন কাজ হলেও চেলসি একাধিকবার সেই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। তাই ম্যাচের কোন দলই ফেভারিট ছিল না। উপরন্তু বাড়তি আকর্ষণ হিসাবে ছিল রোমেলু লুকাকু ও ভার্জিল ভ্যান ডাইকের ফুটবল দ্বন্দ্ব। ম্যাচের শুরুতে বল দখলে লিভারপুল এগিয়ে থাকলেও প্রতিআক্রমণে বেশ ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিল চেলসিকে।
অবশেষে কর্ণার থেকে কাই হ্যাভার্টসের বিশ্বমানের নিখুঁত হেড থেকে ২২ মিনিটে এগিয় যায় চেলসি। ঘরের মাঠে রেডসরা আক্রমণ করলেও গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হচ্ছেলিন তারা। তবে সবকিছু বদলে যায় প্রথমার্ধ শেষের ঠিক আগেই। লিভারপুলের বিরুদ্ধে সেট পিস থেকে কোনরকমে গোলে হওয়া থেকে আটকান চেলসির ফুটবলাররা। তবে ভিএআরের সঙ্গে পরামর্শ করার পর ও নিজে গোটা ঘটনার ফুটেজ দেখে লিভারপুলকে পেনাল্টি প্রদান করেন রেফারি।
ইচ্ছাকৃত গোলমুখী বল হাত দিয়ে আটকানোর জন্য চেলসি রাইটব্যাক রিস জেমসকে লাল কার্ডও দেখানো হয়। মহম্মদ সালাহ পেনাল্টি থেকে লিভারপুলের হয়ে প্রিমিয়র লিগে নিজের ৯৯তম গোল করতে কোন ভুল করেননি। এরপরেই দুই দলের ফুটবলাররা প্রবল ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন। এমন উত্তপ্ত অবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে সকলেই আশা করছিলেন ১০ জনের চেলসির গোলের দরজা খোলা খুব বেশি কঠিন কাজ হবে না লিভারপুলের। শুরুর দিকে অহরহ আক্রমণে তেমনটা মনেও হচ্ছিল। তবে দুর্দান্ত গোলরক্ষক এডুয়ার্ড মেন্ডি ও পরিবর্তিত হিসাবে নামা ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভার ডিফেন্সে নেতৃত্বের ওপর ভর করে চেলসি জুরগেন ক্লপের দলকে রুখে দিতে সক্ষম হয়।
৪৫ মিনিট ধরে বাইরের মাঠে লিভারপুলের মতো একটা দলের বিরুদ্ধে থমাস টুচেলের দলের এই পারফরম্যান্স বহুদিন মনে রাখা হবে। পরের সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বিরতির পর ১২ সেপ্টেম্বর লিভারপুল মুখোমুখি হবে লিডসের। চেলসির তার আগেরদিন মাঠে নামবে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।