লিগ খেতাব খোয়াতে হয়েছে লিভারপুলের কাছে। প্রিমিয়র লিগ চ্যাম্পিয়নের মুকুট ধরে রাখতে না পারার হতাশা থাকলেও ভেঙে পড়েনি ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। বরং স্পোর্টিং স্পিরিট বজায় রেখে সিটিজেনরা ঘরের মাঠে স্বাগত জানায় ইতিমধ্যেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়া রেডসদের।
ম্যাঞ্চেস্টার সিটির তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, তাদের ঘরের মাঠে লিভারপুল খেলতে নামলে ক্লপদের গার্ড অফ অনার দেবেন গুয়ার্দিওলারা। সেই মতো ৩০ বছর পর লিগ জয়ীদের সম্মানের সঙ্গে বরণ করে নেয় সিটি। তবে কে জানত যে, মাঠে ঢোকার সময় এমন সম্মানিত বোধ করা লিভারপুলকে মাঠ ছাড়তে হবে মাথা নিচু করে! কেই বা অনুমান করতে পেরেছিল যে, মাঠের লড়াইয়ে নিতান্ত লাঞ্ছিত হতে হবে কীর্তিমানদের!
ইতিমধ্যেই ট্রফি চলে আসায় লিভারপুল লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পড়েছে, এমন অযুহাত দেওয়া যায় এতিহাদের ম্যাচ শেষে। তবে এটা নিশ্চিত যে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও ম্যান সিটি উৎসাহ হারায়নি এতটুকু।
লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমেই লিভারপুলকে বড় ব্যবধানে হারতে হল। ঘরের মাঠে রেডসদের ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় ম্যান সিটি। ক্লপের কোচিংয়ে লিভারপুলের এটা অন্যতম বড় ব্যবধানে হার। লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়ার পর কোনও দলের এটা যুগ্মভাবে বৃহত্তম পরাজয়। ১৯৯৭-৯৮ সালে লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আর্সেনাল লিভারপুলের কাছে হেরেছিল একই ব্যবধানে।
ম্যান সিটির হয়ে রেডসদের বিরুদ্ধে ম্যাচের ২৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন ডি'ব্রুইন। ৩৫ মিনিটে স্টার্লিং বল জড়ান পুরনো দলের জালে। ৪৫ মিনিটে তরুণ ফডেন গোল করে স্কোর-লাইন ৩-০ করেন। শেষ গোলটি হয় আত্মঘাতী। ৬৬ মিনিটে চেম্বারলেন নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে বসেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, লিভারপুল এই ম্যাচে নিজেদের পূর্ণ শক্তির দল মাঠে নামায়। এবারের প্রিমিয়র লিগ অভিযানে এটি লিভারপুলের ৩২ ম্যাচে মাত্র দ্বিতীয় হার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।