রীতিমতো গোলের উৎসব। ২০১১-র পর থেকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড প্রিমিয়র লিগের এমন মনোরঞ্জক ম্যাচের সাক্ষী থাকেনি। যদিও হতাশার বিষয় এই যে, রে়ড ডেভিলসের আগ্রাসী ফুটবল গ্যালারিতে বসে উপভোগ করা হল না সমর্থকদের।
ঘরের মাঠে এএফসি বোর্নমাউথকে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ৫ গোলের মালা পরায়। যদিও আক্রমণাত্মক ফুটবলের মাশুল দিয়ে ২টি গোল হজম করতে হয় তাদের। অবনমনের আওতায় থাকা প্রতিপক্ষকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পথে ম্যান ইউ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টিকিটের আশা জিইয়ে রাখে।
আপাতত ৩৩ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের পাঁচ নম্বরে থাকলেও চেলসির ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে ইউনাইটেড। ওয়াটফোর্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চেলসি যথারীতি চার নম্বর স্থান ধরে রেখেছে। তাদের সংগ্রহে রয়েছে ৩৩ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে হলে লিগের প্রথম চারে থাকতে হবে ম্যাঞ্চেস্টারকে। শেষ পর্যন্ত ওলে গানারের দল চেলসিকে টেক্কা দিতে পারে কিনা, তা নির্ধারিত হয়ে যাবে লিগের বাকি ৫ ম্যাচে।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরুতেই গোল করে এগিয়ে যায় বোর্নমাউথ। ১৫ মিনিটে কিংয়ের পাস থেকে গোল করেন স্ট্যানিসলাস। ২৯ মিনিটে ফার্নান্ডেজের পাস থেকে গোল করে ম্যাঞ্চেস্টারকে সমতায় ফেরান গ্রিনউড। ৩৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন রাশফোর্ড। ৪৫+২ মিনিটে ফার্নান্ডেজের পাস থেকেই গোল করেন মার্শাল এবং ইউনাইটেড লিড নেয় ৩-১ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পেয়ে যায় বোর্নমাউথ। ৪৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমান কিং। ৫৪ মিনিটে মাটিচের পাস থেকে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন গ্রিনউড। ৫৯ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে দুরন্ত গোল করেন ব্রুনো ফার্নান্ডেজ এবং সেই সঙ্গে ইউনাইটেডের ৫ গোলের বৃত্ত পূর্ণ করেন।
ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড শেষবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে লিগের ম্যাচে ৫ গোল করেছিল ২০১১ সালের ডিসেম্বরে। তারা উইগানকে সেবার ৫-০ গোলে পরাজিত করেছিল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।