জল্পনা ছিলই, শীঘ্রই সত্যি হতে চলেছে সেই জল্পনা। তীব্র বিতর্ক ও সমর্থকদের চাপে পড়ে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ খেলার সিদ্ধান্ত থেকে একে একে পিছু হটতে শুরু করেছে ক্লাবগুলি। সুপার লিগের ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই ক্লাবগুলির সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। নিজের প্রিয় দলের মাঠের সামনে বিভিন্ন ব্যানার হাতে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় তাঁদের। এমন অবস্থা টুর্নামেন্টের সঙ্গে যুক্ত ক্লাবগুলিকে নিজের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করে।
সময়ের সাথে স্পষ্ট হয়ে যায় দলের সমর্থক ও বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি দলের ফুটবলাররাও মালিকদের সিদ্ধান্তে খুশি নন। লিভারপুল অধিনায়ক জর্ডন হেন্ডারসনের নেতৃত্বে প্রিমিয়র লিগের বিশটি ক্লাবের অধিনায়কই আলোচনায় বসতে বলা হয়। এরপরেই ধীরে ধীরে ভোলবদল। প্রিমিয়র লিগের 'বিগ সিক্স' ক্লাবের মধ্যে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি সবার শেষে সুপার লিগে যোগদান করলেও, প্রথম ক্লাব হিসাবে সরকারিভাবে সুপার লিগ না খেলার সিদ্ধান্তের কথা জানান তাঁরা। নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে তাঁরা জানান, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে চাই ম্যাঞ্চেস্টার সিটি সুপার লিগ থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে।’
এরপরে একে একে লিভারপুল, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, টটেনহ্যাম হটস্পার, চেলসিও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়। আর্সেনাল ক্লাবের পক্ষ থেকে দলের সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে জানানো হয়, ‘সমর্থকদের মনে আঘাত করা কখনই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। সুপার লিগে খেলার আমন্ত্রণ পেলে, ভবিষৎ ঘিরে অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও আমরা পিছিয়ে পরার ভয়েই লিগে সামিল হই। আর্সেনাল ক্লাব ও তাঁর ভবিষৎ-র কথা মাথায় রেখেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিই।’
ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলি পিছু হাঁটার পর সুপার লিগ কমিটির পক্ষ থেকে পুনরায় সব বিচার করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের কথা জানানো হয়। এক বিবৃতিতে লিগ কর্তৃপক্ষ জানান, ‘আমরা নিজেদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছি যাতে সামান্য রদবদল ঘটিয়ে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যায়। ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলিকে চাপের মুখে পিছপা হতে বাধ্য করা হয়। তবে আমরা নিশ্চিত আমাদের টুর্নামেন্ট ইউরোপের কোনরকম নিয়ম অমান্য করিনি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।