কেরিয়ারে বহু বড় ইনিংস খেলার পথে সচিন তেন্ডুলকর একাধিক সুযোগ দিয়েছেন প্রতিপক্ষ দলকে। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকায় ক্যাচ পড়েছে মাস্টার ব্লাস্টারের। যার মাশুল গুনতে হয়েছে বিপক্ষদের। এমনটা শুধু তেন্ডুলকরের ক্ষেত্রেই নয়, বরং সব ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কখনও না কথনও সব ব্যাটসম্যানই লম্বা ইনিংস খেলার পথে কম-বেশি ভাগ্যের সাহায্য পেয়েছেন।
তেন্ডুলকরের কেরিয়ারের এমনই এক ইনিংসের কথা তুলে ধরলেন আশীষ নেহরা, যেখানে মাস্টার ব্লাস্টারকে সবথেকে ভাগ্যবান মনে হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন পেসারের। নেহরার মতে, ২০১১ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৮৫ রানের ইনিংসটিতে সচিন সবথেকে বেশি ভাগ্যের সাহায্য পেয়েছেন।
নেহরা জানান, সেই ইনিংসে সচিনের চারটি ক্যাচ মিস করে পাকিস্তান। তিনটি আফ্রিদির বলে এবং একটি মহম্মদ হাফিজের বলে। এছাড়া একবার এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত ডিআরএসের সুবাদে নিজের অনুকূলে বদলে নেন সচিন।
তেন্ডুলকর ব্যক্তিগত ২৩ রানে তৃতীয় আম্পায়ারের সৌজন্যে ক্রিজে টিকে যান। পরে ২৭, ৪৫, ৭০ ও ৮১ রানের মাথায় সচিনের ক্যাচ ছাড়েন পাক ফিল্ডাররা। শেষমেশ ১১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১৫ বলে ৮৫ রান করে আউট হন তিনি। ভারত ৯ উইকেটে ২৬০ রান তোলে ম্যাচে।
নেহরা বলেন, 'এটা বলে দেওয়ার দরকার হয় না। সচিন নিজেও জানে সেই ম্যাচটিতে ও কতটা ভাগ্যবান ছিল। সচিনের সবথেকে ঝুঁকিপূর্ণ ইনিংস ছিল সেটি।'
পরে নেহরা মজা করে বলেন, 'যখনই সচিন অন্তত ৪০ রান করেছে, ওর ক্যাচ পড়তে দেখবেন। তবে আপনার বেলায় খুব বেশি হবে না তেমনটা।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।