পাকিস্তানে ফাস্ট বোলিং বরাবরই শক্তিশালী। ফাস্টবোলারদের আঁতুর ঘর বলা হয় পাকিস্তানকে। এই দেশের বহু নামীদামী তারকা পেসার বিশ্ব ক্রিকেট কাঁপিয়েছেন। ওয়াসিম আক্রম এবং ওয়াকার ইউনিসের জুটি ১৯৯০-এর দশকে রাজত্ব করলেও, ২০০০ দশকের গোড়ার দিকে স্পিডস্টার শোয়েব আখতার, মহম্মদ আসিফদের আবির্ভাব ঘটে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উল্লেখযোগ্য ভাবে তাঁরা সাফল্য পান। বর্তমানে পাকিস্তান টিমে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদিও দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন।
২০১০ সালে ম্যাচ গড়াপেটা কেলেঙ্কারির সময়ে পাকিস্তান ক্রিকেট একটা বড় ধাক্কা খেয়েছিল। সেই সময়ে দলের প্রধান দুই পেসার ছিলেন- আসিফ এবং মহম্মদ আমির। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ২০১০ সালে সাত বছরের জন্য নির্বাসিত হন আসিফ। যার ফলে তাঁর কেরিয়ার সেখানেই শেষ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ‘ইংল্যান্ডের ক্লাব স্তরের ৩০ শতাংশ পরিকাঠামোও নেই পাকিস্তানে’, দাবি পাক তারকার
আরও পড়ুন: দুরন্ত ছন্দে পাক কিপার, সারেকে হারিয়ে অক্সিজেন পেল সাসেক্স
পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম একটি ইউটিউব শো চলাকালীন ঘটনাটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কিছুটা হতাশাই প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, আসিফ তাঁর প্রতিভা নষ্ট করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ‘হ্যাঁ সেই সময়ে সকলে মহম্মদ আসিফকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিল। প্রতিভা যে নষ্ট হয়েছে, এতে কোনও সন্দেহ নেই।’
তিনি আরও যোগ করেছন, ‘যাঁদের সঙ্গেই আমি ওকে নিয়ে কথা বলেছি, তারা সবাই বলেছে, এই ধরনের বোলার তারা কয়েক দশক পর দেখছে। যে ভাবে ও বলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত, দু'দিকেই সুইং করাতে পারত, এটা শুধু ওর জন্য নয়, পাকিস্তানের জন্যও দুর্ভাগ্যজনক ছিল। অনেকটা সময় ধরে আমি ওকে দেখিনি। দশ বছর হয়ে গেল আমি করাচিতে রয়েছি। লাহরে আমি খুবই কম যাই। ওর তখন বয়স কম ছিল, ভুল করে ফেলেছিল।’
আসিফ ২০০৫-২০১২ সাল পাকিস্তানের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। জাতীয় দলের হয়ে ২৩টি টেস্ট, ৩৮টি ওয়ানডে এবং ১১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন তিনি। ডানহাতি পেসারের টেস্টে ১০৬টি, ওয়ানডেতে ৪৬টি এবং টি-টোয়েন্টিতে ১৩টি উইকেট ছিল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।